সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে সাময়িক সমস্যাকে টেনে খড়গপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছেন মোদি। দাসপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পালটা দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বললেন, “হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর। কারণ বিজেপির লড়াই শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়।”
শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Elections)। আগামী শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। ফলে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন দুপুরে দাসপুরে সভা করেন তিনি। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে জে পি নাড্ডা, সকলকেই তুলোধোনা করেন। নিয়মিত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বঙ্গসফরকে কটাক্ষ করে বলেন, “মোদি, অমিত শাহরা তো বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে। কিন্তু ওরা জানে না এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করবে বাংলার মানুষ।”
[আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই উত্তপ্ত খড়গপুর, রাতের অন্ধকারে পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ]
শনিবার খড়গপুরের সভা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ইনস্টাগ্রামে (Instagram) সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন মোদি। বলেন, “যেভাবে হোয়াটঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রাম ডাউন হয়ে গিয়েছিল, ওভাবেই দিদির আমলে বাংলাও ডাউন হয়ে গিয়েছে, শিক্ষা, উন্নয়ন সমস্ত দিক থেকে।” দাসপুরের সভা থেকে মোদির এই আক্রমণের পালটা দেন অভিষেক। বলেন, “সামান্য কিছু সময় সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই খবর রয়েছে। কিন্তু লকডাউনে, আমফানের সময় কত মানুষ কষ্টে ছিলেন তা তিনি দেখতে পাননি। কারণ বিজেপির লড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তৃণমূল মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে তাঁদের জন্য কাজ করে।” এদিন দাসপুরের সভা থেকে আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে অভিষেক দাবি করলেন, তিনি নিশ্চিত যে বাংলার মানুষ বহিরাগতদের ফেরাবেই। কিন্তু সত্যিই কি বাংলা নিজের মেয়েকেই চাইবে? নাকি রাজ্যের দায়িত্ব বহিরাগতদের হাতে তুলে দেবেন বঙ্গবাসী? তা স্পষ্ট হবে ২ রা মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর।