সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পটাশপুরের সভায় আবেগপ্রবণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, “স্নেহে অন্ধ ছিলাম।” যদিও মুহূর্তেই আবেগ সামলে মমতা বলেন, এই দলত্যাগ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
নির্বাচন (West Bengal Assembly Polls) শিয়রে। চলতি মাসের ২৭ তারিখ বঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন। ফলে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রথমে এগরা, তারপর পটাশপুরে সভা করেন তিনি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari, BJP candidate) জেলার সভা থেকেই নাম না করে দলত্যাগীদের প্রতি তাঁর অপত্য স্নেহের কথা বললেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি। স্নেহে অন্ধ ছিলাম। গদ্দারি করেছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, এই দলত্যাগ তৃণমূলের উপর কোনওপ্রভাবই ফেলতে পারবে না। এদিনের সভা থেকে বিজেপিকেও একহাত নেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী (TMC candidate)। বেকারত্বের জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি, আমজনতাকে সতর্ক করে বলেন, নিশ্চিত ও সুস্থ ভবিষ্যৎ পেতে বিজেপিকে একটি ভোটও নয়।
[আরও পড়ুন: অভিনব দেওয়ালচিত্র, স্কুলের শোভা বাড়িয়ে নজর কাড়ল দিনমজুর পরিবারের ৩ ছাত্র]
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকেই দলত্যাগের হিড়িক পড়েছে শাসকদলে। প্রথম প্রশ্ন ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। কিছুদিনের মধ্যেই জল্পনা সত্যি করে শাসকদলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন ‘দিদির সৈনিক’ শুভেন্দু। পরবর্তীতে যোগ দেন বিজেপিতে। যা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। সেই সময় দলত্যাগীদের তালিকায় ছিলেন আরও একাধিক নেতা। পরে বিধানসভা ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতেই জটু লাহিড়ী, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সোনালী গুহ’র (Sonali Guha) মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু পুরনো সঙ্গীরাও দল ছেড়েছেন।