কৃষ্ণকুমার দাস: দেশের করোনা সংকট নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সংকটজনক পরিস্থতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর উপর থেকে জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হোক। যে সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলি থেকে আমদানি শুল্কও প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন মমতা।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা দেশের মতো রাজ্যেও সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় অভূতপূর্ব সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা সকলেই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছি এই পরিস্থিতি মোকাবিলার। ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ যাতে বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উৎসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। চিঠিতে মমতা (Mamata Banerjee) লিখেছেন, সরকারের পাশাপাশি বহু বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এজেন্সি এবং বহু ব্যক্তিও চিকিৎসা সামগ্রী কেনার ব্যাপারে বা সরবরাহ করার ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করছে। এই সংগঠনগুলি বারবার দাবি জানিয়ে আসছে, যাতে করোনার চিকিৎসায় ওষুধ এবং চিকিৎসাসামগ্রী থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক। আইসিইউ তৈরির সরঞ্জাম, বাইপ্যাক মেশিন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, সিলিন্ডারের মতো সামগ্রীর উপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবিও জানাচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থাগুলি। জিএসটির দর নির্ধারণের বিষয়টি যেহেতু কেন্দ্রের অধীনে তাই আমার অনুরোধ থাকবে, এই জীবনদায়ী ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীগুলি থেকে জিএসটি (GST), আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য কর প্রত্যাহার করা হোক।
[আরও পড়ুন: কে হবেন বাংলায় বিরোধী দলনেতা? নির্বাচন করতে ২ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ বিজেপির]
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার পর এটি মমতার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চতুর্থ চিঠি। এদিন আরও একবার সংকটের পরিস্থিতিতে রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মমতা বলেন,”আপনার কাছে আমি এর আগেও অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আবারও বলছি, রাজ্যের জন্য অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন পাঠান। নাহলে সংকট সৃষ্টি হবে।” প্রসঙ্গত, গতকালই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিযোগ করেন,”আমাদের রাজ্যের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি হেরে গিয়েছে বলে বঞ্চিত করেছে।” মমতার সাফ দাবি, রাজ্যের তৈরি অক্সিজেন রাজ্যেকেই দিতে হবে।