বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: অবশেষে কাটল জটিলতা। মিলল সম্মতি। আগামিকাল বিধানসভায় শপথ নেবেন নবনির্বাচিত চার তৃণমূল বিধায়ক। অধ্যক্ষ নন, শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষের ঘরেই শপথ অনুষ্ঠান হবে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসবে। সেখানে মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
গত তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় রাজভবন ও বিধানসভা। রীতি অনুযায়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ। আর মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথ পড়াবেন বলে জেদ ধরেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar)। তাতেই জটিলতা তৈরি হয়। জটিলতা কাটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
[আরও পড়ুন: ‘অর্থ এবং নারী চক্র থেকে দলকে টেনে বের করা দরকার’, ফের টুইটে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা তথাগত]
অবশেষে বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তখনই ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ। ভবিষ্যতে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আগে ভাববেন বলেও জানান। সোমবার পরিষদীয় দপ্তরের তরফে রাজ্যপালের সম্মতির জন্য চিঠি দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেলে রাজ্যপালের সম্মতি পৌঁছয় বিধানসভায়। তবে অধ্যক্ষ নন, বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার।
তার আগে অবশ্য বসবে বিধানসভার কার্যকারিনী কমিটির সভা। তবে সভায় যোগ দেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। ফলে বেকায়দায় একমাত্র জোটের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। অধিবেশনের কোনওকিছু তিনি জানতে পারছেন না বলে জানান অধ্যক্ষকে। আজকের বৈঠকেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানান হয়নি বলেও জানান। আবার এদিনই বিধানসভায় বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় অদলবদল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।