স্টাফ রিপোর্টার: শিল্পের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে লগ্নি আনতে এবার জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দপ্তরগুলিকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার নবান্নে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের (Bengal global business summit) প্রস্তুতি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা। তাঁদের নোডাল অফিসার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কতগুলি দপ্তর বাণিজ্য সম্মেলনে দপ্তরের প্রকল্পগুলি নিয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ দেবে। দপ্তরগুলির প্রকল্পে কীভাবে লগ্নির পথ খুলতে পারে, তা নিয়েও এদিন বৈঠকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়।
[আরও পড়ুন: ভোটের বাকি ৩ দিন, বিধাননগর পুরনিগমের ইস্তাহারই প্রকাশ করতে পারল না বিজেপি]
কীভাবে প্রকল্পগুলি লগ্নিকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে তা নিয়ে বিদ্যুৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, ম্যানুফ্যাকচারিং, পর্যটন ও পরিষেবা, তথ্যপ্রযুক্তি-সহ সাতটি দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। এপ্রিল মাসে বিজিবিএস-এর দিন আগেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ মতোই বিভিন্ন ক্ষেত্র ধরে ধরে প্রস্তুতি চলছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দলে ভারী হচ্ছে বিদ্রোহীরা! উত্তরাখণ্ডে লকেট-শান্তনুর প্রচার ঘিরে নয়া অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপিতে]
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্প বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আন্তর্জাতিক স্তরের এই শিল্প সম্মেলন আয়োজন করেন। করোনার জন্য দু’বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা যায়নি। এবার তাই আরও বড় করে সম্মেলন করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে এই সম্মেলন। সেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (PM Modi) আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। এর আগে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সমাগম ঘটেছিল। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৮ সালে এসেছিলেন সম্মেলনের উদ্বোধনে। তিনি রাজ্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মমতার এই সম্মেলনে বহু বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই যোগ দিয়েছেন। সেখান থেকে প্রাপ্তিও কম ঘটেনি। এবার এই সম্মেলন কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার।