সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের কাছে প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এনামুলের দলবলের কীর্তি ও ‘কয়লা মাফিয়া’ লালার তাণ্ডব। এই ইস্যুতেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে পরোক্ষে হুমকিও দিলেন তিনি।
রবিবার সকালে বেশ কয়েকটি টুইট করে রাজ্যপাল। সেই টুইটে গরুপাচার এবং কয়লা কাণ্ড নিয়ে সুর চড়ান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ট্যাগ করা টুইটে ফের পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি লেখেন, রাজনৈতিক কারণে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এক চার্টার্ড অ্যাকান্ট্যান্টকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়লা ও গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেন ভুলে যাচ্ছেন আপনারাও আইনের ঊর্ধ্বে নন। উর্দিধারী সুবিধাভোগীরা কয়লা-গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানকে ভোঁতা করে দিতে চাইছে। এই প্রবণতা বিপজ্জনক। রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় এই রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছি। প্রশাসন যাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত না হয়, তা দেখা আমার কাজের মধ্যে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘ভলিউমটা কমেছে, স্পিকারের কানেকশনও বন্ধ হবে’, অনুব্রতকে পালটা দিলীপের]
চলতি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) দু’দিনের রাজ্য সফরে আসেন। ঠিক সেই সময়েই আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকজন কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং কার্যালয়ে অভিযান চালায় আয়কর দপ্তর। কলকাতায় চলে সিবিআই তল্লাশি। আয়কর দপ্তর কয়লা কাণ্ডে যুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও বেশ কিছু ব্যবসায়ীর কলকাতা, আসানসোলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি পেয়েছে। নথির ভিত্তিতে তারা জেনেছে রাজ্যের ভিতর গরুপাচারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়লা ব্যবসায়ীদের যোগ রয়েছে। উভয়পক্ষই রাজ্যের বেশ কিছু প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য রেখে নানা বেআইনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সম্প্রতি নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। সামনের বছর রাজ্যে ভোট, তার আগে এই পরিস্থিতিতে আগেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহও সাংবাদিক সম্মেলনে পালটা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “ওনার সঙ্গে লালার কী সম্পর্ক? কেন উনি বাঁচাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করে বলুন।” তারপরই এই ‘লালা’ ওরফে অনুপ মাজিকে নিয়ে আলোচনা বিভিন্ন মহলে শুরু হয়। যার সূত্র ধরেই টুইট খোঁচা রাজ্যপালের।