গৌতম ব্রহ্ম: বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে বাংলা। এমনই ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে রাজ্যেও তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন। যারা বেসরকারি স্কুলগুলি সম্পর্কে ওঠা অভিযোগ শুনবে। তৈরি করবে গাইডলাইনও। নিয়ন্ত্রণ করবে ফি-ও। সোমবার রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
রাজ্যের একাধিক বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে বাংলা পড়ানো হয় না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ভাষা হিসেবে ইংরেজি বাধ্যতামূলক। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও বহু ক্ষেত্রে অনেকে হিন্দি বা অন্য় ভাষা নেয়। ফলে স্কুল জীবনে বাংলাটা পড়া হয় না। এবার সেই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী হল রাজ্য মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, এদিন মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে বাধ্যতামূলক ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তৃতীয় ভাষা হিসেবে সাঁওতালি, উর্দু বা অন্য কোনও ভাষার ব্যবহার করা যেতে পারে। ইংরেজি মিডিয়াম ছাড়া অন্য কোনও মিডিয়ামের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য় হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধবাবু হাসপাতালে ভুগছেন, আমি জেলে’, জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল পার্থর]
উল্লেখ্য, ইংরেজি শিক্ষার চাপে বাংলা ভাষার প্রতি নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছিল বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, সম্প্রতি এক কলেজের ভরতির বিজ্ঞাপ্তি ঘিরেও দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেডি মিডিয়ামের পড়ুয়া না হলে সেই কলেজে ভরতি হওয়া যাবে না। পরে অবশ্য তুমুল চাপের মুখে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগী হল রাজ্য।
এদিকে করোনা কাল থেকে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। কখনও মাত্রাতিরিক্ত ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে তো কখনও আবার সিলেবাস-পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে জল গড়িয়েছে আদালত অবধি। কলকাতা হাই কোর্টে দফায় দফায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবার সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ করল মন্ত্রিসভা। স্বাস্থ্য কমিশনের মতোই তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন। যার মাথায় থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এই কমিশন বেসরকারি স্কুলগুলির অভিযোগ শোনার পাশাপাশি স্কুলগুলির জন্য গাইডলাইনসও তৈরি করবে।