বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আগামী ১১ মার্চ বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্য বাজেট (Budget)। রাজ্যের অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বাজেট পেশ করতে পারেন বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় বাজেট অধিবেশন সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারপরেই রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন ডাকার জন্য অনুরোধ করা হয় রাজ্যের তরফে।
সোমবার বাজেট অধিবেশন নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “এই প্রথম রাজ্যপাল ফাইল ফেরত পাঠিয়েছেন। আমি, মুখ্যমন্ত্রী, সই করে ফাইল পাঠিয়েছি। উনি বলছেন, ক্যাবিনেট করে পাঠান। সিএম ইজ দ্য ভয়েস অফ দ্য ক্যাবিনেট। আমি জানি না, কেন শুধু শুধু এইগুলো নিয়ে ইস্যু করা হচ্ছে, প্রসেসটা ডিলে করা হচ্ছে। যাই হোক, আমরা ভদ্রতা মেনে আজ ক্যাবিনেট করে রাজ্যপালের অ্যাড্রেস, বাজেট এবং সেশন শুরু হবে – এই তিনটে করিয়ে দিয়েছি।” ৭ মার্চ রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ভাষা শহিদ বরকতের জন্মস্থানে বসবে মূর্তি, ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
সাধারণত কেন্দ্রীয় বাজেট হওয়ার দু’একদিন আগে বা পরে পেশ করা হয় রাজ্য বাজেট। কিন্তু এবার পুরভোটের কারণে বাজেট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। বিধানসভা সূত্রে খবর, ৭ মার্চ রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। পরের দিন শোকপ্রস্তাব হবে। ৯ ও ১০ মার্চ হবে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক। পরেরদিন হবে রাজ্য বাজেট।
[আরও পড়ুন: মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষক মদন মিত্র, ভাষা শিক্ষার সঙ্গে দিলেন রাজনীতির পাঠও]
রীতি অনুযায়ী, বিধানসভা অধিবেশন ডাকেন রাজ্যপাল। পরিবেশ অধিদপ্তরের তরফে জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) অধিবেশন ডাকার অনুরোধ জানানো হলেও প্রত্যাখ্যান করে রাজভবন। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত করে তার কাছে আবেদন জানাতে হবে বলে জানান। রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক হয়। সোমবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্ত করে রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন ডাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।