দীপঙ্কর মণ্ডল: উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) পরীক্ষায় কোনও স্কুলে গণটোকাটুকি হলে ওই কেন্দ্রের সব পড়ুয়ার ফল স্থগিত থাকবে। অপরাধের মাত্রা দেখে স্কুলের অনুমোদনও বাতিল হতে পারে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
শনিবার থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক। পরীক্ষা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। নিজেদের স্কুলেই পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা। ভেন্যুর সংখ্যা ৬৬২৭। পরীক্ষা দেবে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৬ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা ৭১ হাজার বেশি। পরীক্ষা হবে ৫৬ টি বিষয়ে। সাধারণ নির্বাচনের আদলে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। নিজেদের স্কুলে পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আটকাতে এই ব্যবস্থা। সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education) সভাপতি জানিয়েছেন, “কোনও ভেন্যুতে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেই ভেন্যু সুপারভাইজার ও ইনভিজিলেটর দায়ী থাকবেন। সংসদ এবিষয়ে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। স্কুলের ফল স্থগিত থাকতে পারে। স্কুলের অনুমোদনও বাতিল হতে হতে পারে।” সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১.১৫ পর্যন্ত কঠোর নজরদারিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। শুরুর একঘণ্টার আগে কোনও পরীক্ষার্থী শৌচালয়ে যেতে পারবে না। পড়ুয়া–সহ শিক্ষকদের কাছেও মোবাইল থাকবে না।
[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগে বেনিয়ম মামলা: ফের কড়া নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের, কী জানাল আদালত?]
দ্বাদশ শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষার খাতায় যাতে কেউ রাজনৈতিক স্লোগান না লেখে তা নিশ্চিত করতে চায় সংসদ। উত্তরপত্রে কোনও অশোভন বাক্য, ছবি বা রাজনৈতিক স্লোগান লেখা যাবে না। নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে উত্তরপত্রটি বাতিল হবে। অভিভাবকরা স্কুলের প্রবেশপথ পর্যন্ত যেতে পারবেন। এবার পরপর দু’বার বদলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি। উপনির্বাচন এবং সর্বভারতীয় জয়েন্টের দিন ঘোষণায় বারবার এই বদল। ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। এছাড়াও সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (JEE Main) হবে ২১, ২৪, ২৫ ও ২৯ এপ্রিল এবং ১ মে ও ৪ মে। এই কারণেই পরীক্ষা সূচির অদলবদল হয়েছে। সংসদ আগেই জানিয়ে দিয়েছে পরীক্ষার দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোয় স্কুলে স্বাভাবিক ক্লাস হবে।
[আরও পড়ুন: মাটিয়া ও মালদহ ধর্ষণ কাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের, চাইল কেস ডায়রিও]
করোনার কোপে ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিকের সব পরীক্ষা হয়নি। পরের বছর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। চিরঞ্জীববাবু বলেন, “টানা দু’বছর পর কোভিড (COVID-19) বিধি উঠল। বহুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। আতঙ্ক কাটাতে হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অসাধু চক্র বিভ্রান্ত করতে পারে। কেউ গুজবে কান দেবেন না।” গুজব বলতে অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করাকে বুঝিয়েছেন তিনি। পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য সংসদ ০৩৩–২৩৩৭০৭৯২, ০৩৩–২৩৩৭৪৯৮৪, ০৩৩–২৩৩৭৪৯৮৫, ০৩৩–২৩৩৭৪৯৮৬, ০৩৩–২৩৩৭৪৯৮৭ হেল্পডেস্ক নম্বর চালু করেছে।