স্টাফ রিপোর্টার: করোনা (Coronavirus) নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ডেঙ্গু (Dengue)? এর থেকে বাঁচতে বছরভর তদারকি চাই। নইলে মশার কামড়ে ডেঙ্গু হতেই পারে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যত ক্যালেন্ডার তৈরি করল রাজ্য প্রশাসন। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ১.১৩ লক্ষ ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মী। এর মধ্যে শহরে ৫৫,৮২২ জন এবং গ্রামের জন্য ৫৭ হাজার ৪৫৭ জনকে নিয়োগ করা হবে। মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদির পৌরোহিত্যে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে এমনই রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে বছরভর ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,মারাত্নক ডেঙ্গুপ্রবণ ও মাঝারি ডেঙ্গুপ্রবণ, এই দু’টি ভাগে রাজ্যের সব পুরসভাকে ভাগ করতে হবে। তিনশো বাড়ি পিছু থাকবেন তিনজন ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মী। ঠিক কী কাজ করবেন এই কর্মীরা? মার্চ থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন এই কর্মীরা বাড়িগুলি ও তার চারপাশ তদারকি করবেন। কোথায় জল জমে থাকলে যেমন গৃহস্থকে সতর্ক করবেন, তেমনই মশার ডিম বা লার্ভা দেখা গেলে কীটনাশক ব্যবহার করবেন। আর জুলাই-আগস্ট থেকে মাসে ৩০ দিন এই কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার শাস্তি! ডিভোর্সের পর স্ত্রীর প্রেমিককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর]
স্বাস্থ্য ভবনের ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে সব পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে কীটনাশক সরবরাহ করা হবে। এই জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপ তৈরি হবে। কোন পুরসভার কত কীটনাশক দরকার নির্দিষ্ট অ্যাপে জানিয়ে দিলেই পৌঁছে যাবে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে অন্তত ১০ বার ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মী সমীক্ষা করবেন। সেই রিপোর্ট পুরসভার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাতে হবে। মোবাইল অ্যাপের পুরসভা ও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন আধিকারিকের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। পুরসভা ও পঞ্চযেত এলাকায় নিকাশী, নালা সংস্কারের কাজ এখন থেকেই শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে নিকাশিতে গাপ্পি মাছ ছাড়তে বলা হয়েছে। এই কাজ করবে মৎস্য দপ্তর।
এ তো গেল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজ। ডেঙ্গু আক্রান্ত বা সন্দেহ দেখা দিলে পুর এলাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষার পরিকাঠামো আরও বাড়াতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য সচিবের উপস্থিতিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা পুর ও নগরোন্নয়ন, নিকাশী, কৃষি, নারী ও শিশু কল্যাণ যুব ও ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ-সহ ১৭ টি দপ্তরকে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি শুরু করতে।