সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। খারিজ হয়েছিল তাঁর সাংসদ পদও। সেই মহুয়া মৈত্রের উপরেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল। এবারও কৃষ্ণনগরের প্রার্থী তিনি। শুক্রবারই জমা দেন মনোনয়ন। সম্পত্তির খতিয়ানও তুলে ধরলেন তিনি। জেনে নিন কত সম্পত্তির মালিক মহুয়া।
গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে মহুয়ার (Mahua Moitra) আয় ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর হাতে ৫০ হাজার টাকা নগদ টাকা ছিল। কলকাতার ভবানীপুর শাখার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে রয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওই শাখাতেই আরও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে ১৩৯ টাকা ৮৬ টাকা রয়েছে। ওই শাখার অপর একটি অ্যাকাউন্টে ২৯ হাজার ৯৯০ টাকা ২০ পয়সা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হাই কোর্ট শাখায় ৫২ হাজার ৭৪০ টাকা ৫০ পয়সা রয়েছে। দিল্লিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় রয়েছে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫১০ টাকা। নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য এসবিআইয়ের একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ হাজার টাকা। লন্ডনের ব্যাঙ্কে ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৫০ টাকা রয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ব্যাঙ্কে রয়েছে ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৮ টাকা ২১ পয়সা।
[আরও পড়ুন: কাকভোরে কালীগঞ্জে বিস্ফোরণে উড়ল সোনার দোকান, ঝলসে গেলেন মালিক]
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখায় মোট ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯ হাজার ৪১৮ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে মহুয়ার। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৪৪ টাকা ২৭ পয়সা। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা রয়েছেন তাঁর। একটি স্করপিও গাড়ি রয়েছে। যার বাজারদর ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। মহুয়ার গয়নাগাটির পরিমাণ নেহাত কম নয়। তাঁর হাতে ৮০ লক্ষ টাকার হিরের আংটি রয়েছে। ৯ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার সোনার গয়না রয়েছে। এছাড়া রুপোর ফুলদানি রয়েছে। যার বাজারদর ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা।
২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার রুপোর ডিনার সেট এবং ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার রুপোর টি সেট রয়েছে। রুপোর উরলি বা বালার দাম ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। এছাড়া তাঁর কাছে ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার রুপোর অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে। ৮ লক্ষ টাকার অন্যান্য গয়নাগাটি রয়েছে মহুয়ার। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর কাছে ঘর সাজানোর সামগ্রী রয়েছে ৩ লক্ষ টাকার। তবে তাঁর কোনও চাষযোগ্য জমি, বাড়ি কিংবা অন্যান্য জমি নেই। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। মহুয়ার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী 'রাজমাতা' অমৃতা রায়। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে কে হাসি হাসেন, সেটাই দেখার।