সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যের তিনটি নতুন বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ। আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের তিন বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসছেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI) বা জাতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি দল। কোচবিহার (Cooc Behar), বালুরঘাট (Balurghat) এবং মালদহ (Maldah) বিমানবন্দর চালুর জন্য কতটা প্রস্তুত, তা ঘুরে দেখবেন প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে কাজ শুরু হয়েছে। জেলাশাসকরা বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সবটা খতিয়ে দেখেছেন। এবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ঘুরে দেখে দিল্লিতে রিপোর্ট দেবেন। তারপর কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিললে চালু হবে বিমানবন্দরগুলি। নতুন আশায় বুক বাঁধছেন তিন জেলার বাসিন্দারা।
গত ৮ ডিসেম্বর মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করতে গিয়ে বিমানবন্দরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “মালদহ এয়ারপোর্টটা নিয়ে আমি জেলাশাসককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওঁরা ভাল কাজ করেছেন। আশা করছি, মালদহ এয়ারপোর্টটা অরিজিনাল এয়ারপোর্ট হয়ে যেতে পারে। একহাজার মিটার জমি দরকার ছিল রানওয়ে বাড়ানোর জন্য। সেই জমিটা ওঁরা ব্যবস্থা করেছেন। যদি এক হাজার মিটার রানওয়ে বাড়ানো যায়, তাহলে বড় ফ্লাইট নামতে পারবে। তখন আর এটা রিজিওনাল এয়ারপোর্ট থাকবে না। অরিজিনাল এয়ারপোর্ট হয়ে যাবে। মালদহ বিমানবন্দরটিকে রিজিওনাল বিমানবন্দর হিসাবে চালু করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। অনেকবার বলেছি, কোচবিহার ও বালুরঘাট তৈরি। মালদহে কাজ হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ‘বান্ধবী’র নগ্ন ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করল যুবক! তারপর…]
বালুরঘাট (Balurghat) শহর লাগোয়া মাহিনগরে তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ। এখানকার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা রাজি থাকলেই উড়ান চালু হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিমানবন্দর চালু করতে আগ্রহী। এবার আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা আসছেন, ফলে দ্রুত কেন্দ্রের অনুমোদন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে রেকর্ড মদ বিক্রি! চলতি আর্থিক বছরে বিপুল আয় সরকারের]
অন্যদিকে, কোচবিহার (Cooch Behar) বিমানবন্দর বহু পুরনো। তার রানওয়ে সম্প্রসারণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ১০৬৯ মিটার থেকে ১৭০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো হবে রানওয়েটি। তার জন্য একটি নদীর অংশ প্রয়োজন। জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নদীর উপর কালভার্ট তৈরি করে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। কোচবিহার বিমানবন্দরে নব্বইয়ের দশক থেকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ হওয়ার পর বিমানে চড়ে এই বিমানবন্দরে নামেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ‘উড়ান’ প্রকল্পে এই বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে।