নন্দন দত্ত, বীরভূম: পিংক বুথ। এমনই মহিলা চালিত বুথের স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁরা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যেখানে মহিলা, সেখানে গণতন্ত্রের উৎসবে মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন না, তা তো হতে পারে না। বীরভূম (Birbhum) জেলার প্রতি ব্লকে তাই ১০টি করে পিংক বুথ। যেখানে বুথ পাহারায় রয়েছে সশস্ত্র মহিলা পুলিশ (Female)। জেলার ১৯০টি বুথে কেউ অবসরের আগে শেষ অভিজ্ঞতা হিসাবে এসেছেন। কলকাতা থেকে হরিয়ানা, কর্মসূত্রে তাঁরা ভোটকর্মী হয়ে এসেছেন বীরভূম জেলায়।
হরিয়ানার (Haryana) বাসিন্দা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নীতিশজী। তিনি বাংলা বোঝেন। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) ভোট পরিচালনা করেছেন। প্রিসাইডিং হিসাবে তাঁর এই দায়িত্ব ভালই লাগে। তাঁর মতে, সারা দেশে গণতন্ত্র বজায় রাখতে এটাই তো মাধ্যম। দমদম নাগের বাজারের মেয়ে তৃষা বিশ্বাস। এক বছর হল ব্যাংকের কাজে যোগ দিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সেই তিনি ভোটের দায়িত্ব পেয়ে জেলায় এসে বেশ রোমাঞ্চ বোধ করছেন।
[আরও পড়ুন: সারদা ও নারদা মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত, দিল্লির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় CBI]
সিউড়ি পুরসভার কর্মী গীতা হাজরা। অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে। সুগার, প্রেশার তাঁর সবসময়ের সঙ্গী। ভোটের কাজে এসে তিনি বললেন, ”আর তো এই অভিজ্ঞতা পাব না। একটু ভয় লাগছে। তবে রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারব।” প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা বিপাশা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ”জানি না পারব কিনা। তবে সবাই আছি তো। দেখি না প্রথম অভিজ্ঞতা কেমন হয়।”
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস-ধর্ষণের অভিযোগ, মামলায় আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টে নওশাদ]
জেলার ১৯ টা ব্লকে শুক্রবার সকাল থেকে ‘গোলাপি’ বাহিনী হাজির। নিজের হাতেই ভোট বাক্স, ব্যালট, ভোটের যাবতীয় সরঞ্জাম সব বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের হাতে। লক্ষ্য, শুধু গণতন্ত্র যেন অক্ষত থাকে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, ”ব্লকের কাছাকাছি যেখানে সব সুবিধা পাওয়া যাবে, এমন জায়গায় পিংক বুথগুলি করা হয়েছে। এ জেলায় গণতন্ত্র রক্ষায় মহিলারা যেভাবে এগিয়ে এলেন তা একটা ইতিহাস তৈরি হল।”
দেখুন ভিডিও: