রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মনোনয়ন প্রত্যাহার আটকাতে নয়াপন্থা বিজেপির। দলীয় কার্যালয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ১০ জন প্রার্থীকে গীতা ছুঁইয়ে শপথবাক্য পাঠ করানো হল। এই ঘটনার খবরে পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল ও সিপিএম নেতৃত্ব। মঙ্গলবার রামনগর এক নম্বর ব্লকের পদিমা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অলঙ্কারপুর দলীয় কার্যালয়ের ছবিটা এই রকম। প্রত্যেক মনোনীত প্রার্থীকে গীতা ছুঁইয়ে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন ব্লক সভাপতি তপন মাইতি। একে একে চলছে শপথবাক্য পাঠ। দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল সেই দৃশ্য।

[ভোটযুদ্ধে পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের ভরসা ‘হাউসবোট’, উন্নয়নের জয়গান]
এই প্রসঙ্গে বিজেপির ব্লক সভাপতি তপন মাইতি বলেন, “যা পরিস্থিতি তাতে আর ভরসা করাই যাচ্ছে না। হুমকি, ভয়ের সঙ্গে টাকার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। পবিত্র গীতার প্রতি মানুষের আস্থা আছে। ভরসা আছে। কোনও প্রলোভন, হুমকির জন্য যাতে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন তাই এই উদ্যোগ। শুধু পদিমা দুই গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, রামনগর এক নম্বর ব্লকের প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীকে গীতা ছুঁইয়ে শপথবাক্য পাঠ করানো হবে।”
[দেওয়াল দখল করেও কাস্তে হাতুড়ির ছাপ পড়ল না বড়জোড়ার অধিকাংশ গ্রামে]
বিজেপির এহেন কর্মকাণ্ড জানার পর ক্ষুব্ধ তৃণমুল নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমুলের আহ্বায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, “বিজেপির রাজনৈতিক ভিত্তি হচ্ছে ধর্ম। সেই ধর্মকে আঁকড়ে ধরেই ওরা ভোটযুদ্ধের লড়াইয়ে নেমেছে। যাদের মানুষের উপর ভরসা নেই তাদের ধর্মের উপর কীভাবে আস্থা থাকবে।” পাশাপাশি বিজেপি বিরোধীতায় সরব হচ্ছে বামেরাও। জেলাস্তরের বাম নেতা হিমাংশু দাস বলেন, “রাজনীতি আর আদর্শের লড়াই। ধর্ম নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করে সে কথা আর নতুন নয়। তবে গীতা ছুঁইয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়টি হাস্যকর।”
The post মনোনয়ন প্রত্যাহার ঠেকাতে অভিনব পন্থা, গীতা ছুঁইয়ে প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.