দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরো।’ এ স্লোগান বহুদিন আগে থেকেই দিয়ে আসছে বামেরা। এবার সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim) দিলেন নতুন তত্ত্ব। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্কও সৃষ্টি হল। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলার এক জনসভায় বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বললেন, “রাজ্যের পুলিশকর্মীদের অন্তর্বাসেও রয়েছে তৃণমূলের ছাপ।”
জীবনতলার সভা থেকে সিপিএম নেতাকে বলতে শোনা যায়, “পুলিশের উর্দিটা খুলে নিলে দেখা যাবে আন্ডারপ্যান্টে তৃণমূলের (TMC) ছাপ লাগানো আছে।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশের উর্দি কেনা হয় আমাদের ট্যাক্সের টাকায়। আর পুলিশ যে বন্দুক ব্যবহার করে সেটাও আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেনা। আর সেই পুলিশ এখন তৃণমূলের দালালি করে। সেলিমের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি এই ভাষায় আইনের রক্ষকদের আক্রমণ করাটা কতটা শোভনীয়, প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: ‘পরিকল্পনা করেই করেছিল, বিরুলিয়াবাসীর দোষ নেই’, হামলার তত্ত্বে অনড় মমতা]
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফের ওই যৌথ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকিও (Abbas Siddiqui)। এদিনের সভায় সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মঞ্চ থেকে নাম না করে তৃণমূলের যুবনেতা শওকত মোল্লাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ‘ভাইজান’। তাঁর কথায়, “একটা সময় এই শওকত মোল্লাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোমা মেরেছিল। আজ সেই দিদির তাবেদারি করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আইএসএফের (ISF) সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। যার উপর ভর করে এই জেলায় তৃণমূল এবং বিজেপিকে কড়া টক্কর দেওয়ার আশায় বুক বাঁধছে জোট শিবির। সম্ভবত, সেকারণেই কর্মীদের ভোকাল টনিক দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেলিম-আব্বাসরা। আর সেটা করতে গিয়েই রীতিমতো বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন সিপিএম নেতা।