সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফা ভোটের পর রাজ্যে জারি অশান্তি। তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া বিধানসভার তাজপুর এলাকায়। সংঘর্ষে আহত এক বিজেপি কর্মী। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। আর এই ঘটনাতেই রাত থেকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বিজেপি কর্মীকে। তার আগে বিজেপি পার্টি অফিসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, নির্বাচনী খরচের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে আদি ও নব্য বিজেপির লড়াইয়ের জেরেই এই ঘটনা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর]
এদিকে, রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়ও। শুক্রবার রাতে কাশীপুরের ভুমরু গ্রামে ভাঙচুর করা হল তৃণমূলের পার্টি অফিস। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটিয়েছে আইএসএফের সমর্থকরা। গতকাল নির্বাচনী সভা সেরে ফেরার পথে, তাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি, তৃণমূল কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই ঘটনাস্থলে যান ভাঙড়ের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ রেজাউল করিম। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। যদিও আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, সভা থেকে ফেরার পথে, তাদের কর্মীদেরই কটূক্তি করে তৃণমূল কর্মীরা। এরপর নিজেরাই পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আইএসএফ কর্মীদের মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আবার প্রচারে বেরিয়ে আহত হলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন মতিউর রহমান। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।