অভিরূপ দাস: এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পথে রোগীর প্রাণহানির মতো ঘটনা অহরহ হয়। সেক্ষেত্রে নতুন হাসপাতাল পথে মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) দিতে রাজি হয় না। আবার ডিসচার্জ করা হাসপাতালও রোগীর মৃত্যুর পর আর সার্টিফিকেট দিতে চায় না। তার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েন নিহত রোগীর পরিজনেরা। এবার সেই সমস্যা থেকে নিহত রোগীর আত্মীয়দের রেহাই দিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
কীভাবে রোগীর পরিবারকে রেহাই দিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর? একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রোগীর পরিবার প্রয়োজন মনে করলে এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতেই পারে। তবে পথে যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে ডিসচার্জ করা হাসপাতাল রোগীকে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য। মৃত্যুর পর যেখানে নিয়ে যাওয়া হল সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও দায়ভার থাকবে না। ১৯৬৯ সালের বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট অনুযায়ী এই নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
[আরও পড়ুন: মুকুল রায়-স্বপন দাসগুপ্তের ‘ঘর ওয়াপসি’, রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম তুললেন দুই নেতা]
বেসরকারি হাসপাতালের (Nursing Home) বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে রোগীর আত্মীয়দের। বহুক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগে সরব হন তাঁরা। অনেক সময়ই দেখা যায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন তাঁদের পরিজনেরা। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে পরবর্তীকালে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়রা। সবসময়ই যে রোগী অন্য হাসপাতালে ভরতি হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তেমনটা নয়। বহু ক্ষেত্রে পথে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তবে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় হাসপাতালে ওই রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি হয় না। ডিসচার্জ করা হাসপাতালও দায়িত্ব থেকে পিছু হঠে। তবে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় নিহত রোগীর পরিজনেরা হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।