ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সুখবর। শুক্রবার দ্বিতীয় দফার মহড়ায় রাজ্যে আসছে পুনের করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)কোভিশিল্ড। বৃহস্পতিবার এ কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। প্রথম পর্যায়ে ৬ লক্ষ ডোজ পাচ্ছে রাজ্য। তা কোথায়, কীভাবে রাখা হবে, সেসবও বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন রাখা হবে বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। সেখানে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার কোল্ড চেন সিস্টেমে সুরক্ষিত থাকবে টিকাগুলি। এখান থেকেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যে।
প্রথম দফায় মহড়া দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলার (West Bengal) তিন জায়গা। করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ড্রাই রানে এবার অংশ নিচ্ছে কলকাতা। সূত্রের খবর, শুক্রবার গোটা দেশের পাশাপাশি কলকাতার দুই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলবে টিকাকরণের মহড়া। এসএসকেএম ও এনআরএস হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন নেওয়ার এবং দেওয়ার মহড়া নেবেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের প্রত্যেক জেলার ৩টি করে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলবে ড্রাই রান।
[আরও পড়ুন: টানা তিনদিন ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা]
দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণের মহড়ায় মূলত কোন বিষয়টির উপর নজর রাখবে কেন্দ্র? জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মহড়ায় কেন্দ্রের ‘কোউইন’ (CoWin) অ্যাপ ডাউনলোড করার বিষয়টি। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পদ্ধতি দেখানো হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে অ্যাপটি এনেছে কেন্দ্র। যাঁরা করোনার টিকা নিতে আগ্রহী, তাঁরা এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন জানাতে পারবেন। কিন্তু অ্যাপটি এখনও সচল হয়নি। বরং এটি এই মুহূর্তে ডাউনলোড করতে গেলে তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, এই মর্মে কেন্দ্র সতর্ক করেছে। শুক্রবার অ্যাপটি সচল করার প্রক্রিয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: অধিকাংশ পুরনো কর্মীকে ছাঁটাই, বিক্ষোভের মাঝেই খুলল হাওড়ার ফুডপ্লাজা]
তবে দ্বিতীয় দফার মহড়ায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, টিকা দিতে ঠিক কতটা সময় লাগছে, কাজ চলাকালীন টিকাপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য কীভাবে, কতটা সময়ের মধ্যে নথিভুক্ত করা যাচ্ছে, এসব নজরে রাখা। জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট শুক্রবারের পর দিতে হবে দিল্লিতে স্বাস্থযমন্ত্রকের কাছে। তার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ফের সমীক্ষা করা হবে। তৈরি হবে টিকাকরণের অন্তিম রূপরেখা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখে টিকার মহড়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজগুলিকে। তবে যে সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই, সেখানে জেলা হাসপাতাল কিংবা মহকুমা ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলবে ড্রাই রান। প্রত্যেক কেন্দ্রে ২০ থেকে ২২ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। তার আগেই রাজ্যের ৬ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজপ্রাপ্তিতে খুশি সব মহল।