অরূপ বসাক, মালবাজার: দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি। তাই এবার নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নিলেন মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি চা বাগানের দুই যুবক। সোমবার পায়ে হেঁটে মালবাজার থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবকের নাম পিলাতুষ ওঁড়াও ও শ্যাম ওঁড়াও। বাড়ি ওদলাবাড়ি (Odlabari ) চাবাগানের চিরো লাইনে। ১৪০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। কিন্তু কেন? আদিবাসী সম্প্রদায়ের নানার অভাব-অভিযোগ রয়েছে। তা জানাতেই এবার রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন দুই যুবক। পিলাতুষ ওড়াও বলেন, “চাবাগান-সহ ডুয়ার্স এবং তড়াই এলাকার আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েই আমাদের এই দিল্লি যাত্রা। প্রচণ্ড গরমে হেঁটে এত দূর যাত্রা করা কঠিন হবে জানি, তবুও আদিবাসীদের কথা মাথায় রেখে এটা আমরা সম্পূর্ন করবই।”
[আরও পড়ুন: অবশেষে দেখা মিলল পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার, অস্বীকার করলেন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ]
তাঁদের কথায়, “আদিবাসী এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা, বেহাল রাস্তাঘাট, আদিবাসীদের জন্য ভাল স্কুল নেই। ডুয়ার্স এলাকা জুরে বিরসা মুণ্ডার মুর্তি বসানো হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় মূর্তির চেহারা বিভিন্ন রকম।” তাঁদের যুক্তি, বিরসা মু্ণ্ডা ২৫ বছরে শহীদ হয়েছেন। সেখানে যেসব মূর্তি বসানো হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে ৪০-৫০ বছর বয়স। এতে আদিবাসীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে জানাবেন তাঁরা। আশা, তাঁদের দাবি অবশ্যই পূরণ করবেন রাষ্ট্রপতি।
সোমবার দুই যুবককে খাদা এবং মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান আদিবাসী একতা বিকাশ মঞ্চের অন্যতম সদস্য মহেশ বাগে। তিনি বলেন, “এই প্রথম কোনও আদিবাসী যুবক ডুয়ার্স এবং তড়াইয়ের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হল। আমরা ওদের পাশে আছি। এই গরম উপেক্ষা করে তারা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করছে। প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার রাস্তা তারা পায়ে হেঁটে যাবেন। ওদলাবাড়ি, সেভক, শিলিগুড়ি হয়ে দুজনে দিল্লি যাবে। ৪০ দিন সময় লাগবে তাদের দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছাতে।”