রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্ন অভিযানের সময় বিজেপি কর্মীদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। এই অভিযোগ জানিয়ে আগামীকাল বিকেল সাড়ে চারটের সময় কলকাতায় মৌন মিছিলের ডাক দিল বঙ্গ বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে একথা জানালেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে রাজ্য দপ্তর থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত বিজেপির নেতা-কর্মী ওই মৌন মিছিল করবেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার একাধিক ইস্যুতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা (BJYM) নেতৃত্ব। আর এই সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথম কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য (Tejaswi Surya)। কেন্দ্রের শাসকদলের যুব সংগঠনের এই হাই প্রোফাইল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজপথ। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড ও কমব্যাট ফোর্স নিয়ে বিজেপির যুব কর্মীদের মিছিল আটকাতে তৈরি ছিল পুলিশ। দফায় দফায় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে মিছিল অংশ নেওয়া জনতা।
[আরও পড়ুন: করোনার জেরে বন্ধ স্কুল, ঘরবন্দি অবস্থায় দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে ফেলল ৯ বছরের খুদে]
জি টি রোড, হেস্টিংস, হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকায় মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম লেগে যায়। পুলিশের যাবতীয় হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মারমুখী হয়ে ওঠে উত্তেজিত জনতা। সাঁতরাগাছিতে প্রথমে ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীসমর্থকরা এগোনোর চেষ্টা করতেই গোটা এলাকায় শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। বিজেপিকে আটকাতে জলে বেগুনি রং মিশিয়ে জলকামান ছুঁড়তে থাকে পুলিশ। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে মিছিলকারীরা। এরপরই লাঠিচার্জ করার পাশাপশি টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। নিমিষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। হাওড়া ময়দানের সামনে বোমাও পড়ে। পুলিশও দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে সেখানে। অন্যদিকে হাওড়া ব্রিজের কাছে আরেকটি মিছিল পৌঁছতেই শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। সেখানে দিলীপ ঘোষের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। ধস্তাধস্তির জেরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।