সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলের এক প্রকাণ্ড বিস্ময় তিমি (Whale)। পৃথিবীর বৃহত্তম স্তন্যপায়ী এই প্রাণীদের নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু এবার ইজিপ্টের (Egypt) বিজ্ঞানীরা এক বিস্ময়কর দাবি করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, একসময় তিমি ডাঙাতেও চলতে পারত। আজ থেকে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে চলত তারা। ২০০৮ সালে একটি চারপেয়ে অতিকায় প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছিল। অবশেষে জানা গেল, এই প্রাণীটিই আজকের তিমির পূর্বপুরুষ।
ঠিক কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা? লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এক নতুন গবেষণাপত্র। তাতেই রয়েছে চাঞ্চল্যকর আবিষ্কারের বিবরণ। সংবাদ সংস্থা এপিকে জীবাশ্মবিদ হেশাম সালাম জানিয়েছেন, তিমির পূর্বপুরুষরা ছিল উভচর। ডাঙা ও জল, উভয় অঞ্চলেই দাপিয়ে বেড়াত তারা।
[আরও পড়ুন: কবে থেকে পোশাক পরা শুরু করল আদিম মানুষ? অবশেষে মিলল উত্তর]
২০০৮ সালে একটি ফসিল আবিষ্কার করেছিলেন ইজিপ্টের পরিবেশবিজ্ঞানীরা। সালাম জানাচ্ছেন, পরবর্তী কয়েক বছরে ফসিলটির পর্য়বেক্ষণ করা হয়নি। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের আগে সেরা জীবাশ্মবিদদের একত্রিত করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। বছর চারেক আগে শীর্ষস্থানীয় জীবাশ্মবিদদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় গবেষণা। আর তখনই সামনে আসে চমকপ্রদ তথ্য।
এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কী করে তিমির মতো একটি প্রাণীর পূর্বপুরুষ ডাঙায় বসবাসের পাট পুরোপুরি তুলে দিয়ে জলচর হয়ে গেল তা জানলে কেবল তিমির অভিব্যক্তিই নয়, সমগ্র প্রাণীজগতের বিবর্তনের ধারাকে আরও নতুন ভাবে বোঝা সম্ভব হবে। এছাড়াও তিমিরা সারা পৃথিবীতে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সে সম্পর্কেও নতুন ধারণা করা যাবে।
[আরও পড়ুন: আর সময় নেই, সর্বনাশের পথে পৃথিবী! আবহাওয়া নিয়ে ভয়াবহ আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে]
উল্লেখ্য, ইজিপ্টের পশ্চিম প্রান্তের মরুভূমিকে বলা হয় ‘তিমি উপত্যকা’ বা ওয়াডি আল-হিতান। বহু পর্যটকের আগমন হয় এখানে। এবার সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া তিমির ফসিল থেকেই মিলল এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।