সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ভাইরাস। যার আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে গোটা বিশ্বের। বিজ্ঞান ঘেঁটেও এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের। কিন্তু কী এই করোনা ভাইরাস? নামকরণই বা কীভাবে হল? কোথা থেকে আবির্ভূত হল এই মারণ ভাইরাস? করোনা ভাইরাসের কি আরও ধরন রয়েছে? চলুন প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা যাক।
কী এই করোনা?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে এই ভাইরাস ফেললে মনে হয় এরা মাথায় মুকুট পরে আছে। ল্যাটিন ভাষায় একে বলে ‘করোনাম’ (Coronam)। গুগলে করোনার ছবি সার্চ করলে নিশ্চয়ই ছবি দেখতে পাচ্ছেন। যে খোঁচাগুলি দেখছেন সেগুলি আসলে স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিন (spike glycoproteins)। এদের মূল কাজ হল মানুষের শরীরে বন্ধু প্রোটিনকে খুঁজে নেওয়া। বাহক কোষের প্রোটিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে এরা কোষের মধ্যে ঢুকতে পারে।
[আরও পড়ুন: জল নয়, এই গ্রহে বৃষ্টিতে ঝরে পড়ে লোহা! প্রকৃতি বুঝতে হিমশিম তাবড় বিজ্ঞানীরা]
করোনা কত প্রকার?
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সেন্টারের (Center of Disease Control and Prevention বা CDC) তথ্য অনুযায়ী, মানুষের শরীরে যে ভাইরাস বাসা বাঁধে, ১৯৬০-এর দশকে প্রথম তার প্রকারভেদ সামনে আসে। জানা যায়, মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন মোট সাত ধরনের করোনা ভাইরাস রয়েছে।
CDC প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেগুলি হল:
১. 229E (আলফা করোনা ভাইরাস)
২. NL63 (আলফা করোনা ভাইরাস)
৩. OC43 (আলফা করোনা ভাইরাস)
৪. HKU1 (বিটা করোনা ভাইরাস)
৫. MERS-CoV (বিটা করোনা ভাইরাস): ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথমবার এই ভাইরাসের নাম শিরোনামে উঠে এসেছিল। যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করলে MERS-CoV ঢুকে পড়তে পারে অন্যের শরীরে।
৬. SARS-CoV: ২০০৩ সালে এশিয়ায় এই ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছিল। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছিল এই মারণ ভাইরাস। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে ২০০৪ সালের পর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আর কোনও রিপোর্ট সামনে আসেনি।
৭. SARS-CoV-2: এই ভাইরাসই করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। করোনার CO, ভাইরাসের VI এবং ডিজিসের D নিয়ে হয়েছে COVID-19। ২০১৯ সালে ভাইরাসটি প্রথম ধরা পড়ায় 19। এটি প্রথম চিনের ইউহানে আবির্ভূত হয়।
[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটার মধ্যে দাড়ি-গোঁফ রেখে ঝুঁকি নিচ্ছেন না তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]
কোথা থেকে এল করোনা ভাইরাস?
বিশেষজ্ঞ ডঃ জিওঘেঘানের মতে, বন্য প্রাণী থেকে এই ভাইরাস এসেছে। তাঁর অনুমান, বাদুরের শরীর থেকে এই ভাইরাস এসে থাকতে পারে। কারণ তাদের শরীরে থাকা ভাইরাসের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞের মতে, অন্য কোনও জন্তুর শরীর থেকেও এটি এসে থাকতে পারে। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। কোথা থেকে করোনা আসছে জানলে এর প্রতিষেধক তৈরিও সহজ হয়ে যাবে।
The post করোনার নাম ‘করোনা’ কেন? জানেন, এই ভাইরাস কয় প্রকার ও কী কী? appeared first on Sangbad Pratidin.