সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা মানে জারি হয়ে গেল নির্বাচনী আচরণ বিধি। ১৯৬০ সালে কেরল বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়েছিল। স্বাধীনতা উত্তর ভারতে সেবারের ভোটে সফল হয়েছিল ওই আচরণ বিধি। এর পর ১৯৬২ সালে লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে একই ধরনের বিধি জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Central Election Commission)। কী এই নির্বাচনী বিধি? কীভাবে তা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা রক্ষা করে? ক্ষমতা হারায় সরকার?
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে প্রার্থীরা কোনও আর্থিক অনুদান দিতে পারেন না। সরকার কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে না। কোনও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করা যাবে না। পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না জনপ্রতিনিধিরা। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় নিয়োগ বন্ধ রাখা হয় এই সময়। যাতে করে তা ভোটারদের প্রভাবতি না করে কোনওভাবেই। দলের প্রচারের কাজে সরকারি গাড়ি, যন্ত্র বা নিরাপত্তারক্ষী ব্যবহার করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: এবারের ভোটে ‘সেঞ্চুরিয়নে’র সংখ্যা ২ লক্ষের বেশি, নজরে মহিলা ও ট্রান্সজেন্ডাররা]
পাশাপাশি পুরসভাগুলি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রচারসভার জন্য জায়গা দিতে বাধ্য। ভোটের কাজে সরকারি বাংলো ব্যবহার করা যাবে না। সরকারি সংবাদমাধ্যম শাসকদলের হয়ে কোনও প্রচার করতে পারবে না। ভোটের প্রচারে ধর্মীয় আবেগকে উসকে দেওয়া নিষিদ্ধ। ঘৃণাভাষণ, গুজব ছড়ানো যাবে না। ১৯৬০ সালের পর ১৯৯১-এ আরও কড়া হয় আদর্শ আচরণবিধিগুলিকে। যাবতীয় বিধি বা সতর্কতা জারি থাকে ভোটের ফল ঘোষণা পর্যন্ত। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই বিধি না মানলে পদক্ষেপ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণা থেকে ফল প্রকাশের দিন অবধি সরকার যদি ক্ষমতা হারায়, তবে অপরপক্ষে সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।