দীপঙ্কর মণ্ডল: বুধবারই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে কাটছাঁটের কথা ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে জানানো হল, উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস থেকে বাদ পড়ছে কী কী। তবে, ৬০ এর কম নম্বরে যে বিষয়গুলির লিখিত পরীক্ষা হয়, সেগুলির ক্ষেত্রে সিলেবাস কাটছাঁট হচ্ছে না।
২০১২ এর উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা, ইংরেজি থেকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ফ্রেঞ্চ থেকে পার্সি, সব বিষয়ের সিলেবাসেই কাঁচি চালানো হয়েছে। অনেকটাই বদল করা হয়েছে রসায়েনর সিলেবাস। বাংলা (A) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ৷ ভাষা সাহিত্য থেকে ‘শব্দার্থ তত্ত্ব ৷ বাদ ‘আমার বাংলা’ ও ‘কলের কলকাতা’৷ শিল্প ও সংস্কৃতি থেকে বাদ ‘বাংলা গানের ধারা’ অধ্যায়ও৷ বাংলা (B) থেকে বাদ বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা ও দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় অধ্যায়ের রূপতত্ত্ব। ইংরেজি থেকে বাদ A Chameleon এবং Dulce et Decorum। রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে বাদ পড়েছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বৈদেশিক নীতি ও রাষ্ট্রসংঘ। রসায়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২টি অধ্যায়। পদার্থবিদ্যা থেকে বাদ ইলেকট্রো ম্যাগনেটিভ ওয়েভ, অ্যাটম এবং নিউক্লিয়াস, কমিউনিকেশন সিস্টেম, অল্টারনেটিভ কারেন্ট। এছাড়াও একাধিক বিষয় থেকে বাদ পড়েছে একাধিক অধ্যায়।
[আরও পড়ুন: একুশের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে অনেকটা কাঁটছাট, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, বুধবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “২০২১-এর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি এই প্রস্তাব দেয়। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণায় অত্যন্ত খুশি হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষামহলের একটি অংশের বক্তব্য, সিলেবাস কমিয়ে দেওয়া হলে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে পিছিয়ে পড়তে পারে রাজ্যের পড়ুয়ারা।