সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব কাণ্ডে (Iran Hijab Row) প্রতিবাদকে থমকে দিতে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে ইরান সরকার। ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে ইরানের (Iran) সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিল হোয়াটসঅ্যাপ। যেকোনও ভাবে দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, হিজাব না পরার কারণে পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছিল এক ইরানি তরুণীর। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। ইতিমধ্যেই পুলিশি জুলুমে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩১ জন প্রতিবাদীর।
বুধবার থেকেই ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদের তীব্রতা বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার বাকি থাকা দুই সোশ্যাল মিডিয়া-ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকেও নিষিদ্ধ করে দেয় ইরান সরকার। তারপরেই বার্তা দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে। বলা হয়েছে, “ইরানি বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের টেকনিক্যাল দিক থেকে যতটা করা সম্ভব, আমরা সবটাই করব।”
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের পর গর্ভপাত অন্তঃসত্ত্বার, মৃত ভ্রূণ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাল পরিবার]
মেসেজের গোপনীয়তা বজায় রাখা হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে মনে করা হয়। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, “গোপনে কথা বলার অধিকার রয়েছে মানুষের। সেই অধিকারকে আমরা সমর্থন করি। ইরানের কোনও ফোন নম্বরকে আমরা ব্লক করব না।” তবে সরকারি কড়াকড়ির মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ কতখানি কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
হিজাব কাণ্ডে ইরানে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। হিজাব খুলে ফেলে, মাথার চুল কেটে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রাখতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে ইরানের পুলিশবাহিনী। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস থেকে শুরু করে লাঠিপেটা-কিছুই বাদ পড়েনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন প্রতিবাদীর। তার মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরও। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে হিজাব নিয়ে বিক্ষোভ পরবর্তীকালে প্রতিবাদ আরও বাড়বে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।