সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) নতুন প্রাইভেসি পলিসি (Privacy policy) লাগু হচ্ছে কাল, রবিবার থেকে। এবছরের শুরু থেকেই এই বিতর্কিত পলিসি নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটিকে। প্রথমে ঠিক ছিল ডেডলাইন হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। পরে সেখান থেকে সরে এসে তা ১৫ মে করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ আজকের মধ্যেই গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে হবে তাঁরা এটিকে মানছেন কিনা। যদি না মানেন, সেক্ষেত্রে কী হবে? বন্ধ হয়ে যাবে আপনার অ্যাকাউন্ট? কী জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ?
রাত পোহালেই চালু হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার নতুন শর্তাবলি। কিন্তু কয়েক দিন আগেই এই প্রাইভেসি পলিসিকে মেনে নেওয়ার সময়সীমা পাকাপাকি ভাবে বাতিল করে দিয়েছিল তারা। ফলে আপনি তা স্বীকার নাও করতে পারেন। অর্থাৎ এটি বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এটাও ঠিক, অ্যাকাউন্ট বন্ধ না হলেও বহু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্সই আর আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: করোনা কালেও সক্রিয় জামতাড়া গ্যাং! অনলাইনে অক্সিজেন সিলিন্ডার অর্ডার করে প্রতারিত যুবতী]
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আরও একবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা কারও ব্যক্তিগত মেসেজ পড়ে না। এবং তাদের পলিসি না মানলে অ্যাকাউন্ট মুছেও দেবে না। এবং যে কোনও সময়ই গ্রাহকরা নতুন পলিসিতে সম্মতি দিতে পারেন। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, এখনই এটা না মানলেও আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট হয়ে যাওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। নতুন শর্ত না মানলে প্রথমেই আপনার চ্যাট লিস্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ভয়েস ও ভিডিও কলের জবাব দিতে পারবেন তাঁরা। এমনকী, কোনও ভিডিও কল বা ভয়েস কল ধরতে না পারলেও ফের কল করা যাবে। সেই সঙ্গে নোটিফিকেশন আসবে। এবং নতুন মেসেজের উত্তরও দেওয়া যাবে।
আগামী কয়েক সপ্তাহ এভাবেই চলবে। সেই সঙ্গে ফোনে নিয়মিত নয়া প্রাইভেসি পলিসি অ্যাকসেপ্ট করার নোটিফিকেশন আসবে। যদি তখনও আপনি তা গ্রহণ না করেন, তাহলে আরও একাধিক ফিচার থেকে আপনাকে বঞ্চিত করবে সংস্থাটি। সুতরাং সরাসরি অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করলেও কার্যত নয়া পলিসি না মানলে ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। অর্থাৎ আপনাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তা গ্রহণ করতেই হবে। অন্যথায় টেলিগ্রাম, সিগন্যালের মতো অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করতে হবে।