সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু হয়েছে অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny)। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর মৃতদেহের। এমনটাই অভিযোগ তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের। নাভালনির মা জানিয়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছে, ৪৭ বছরের পুতিন-সমালোচকের দেহ ততক্ষণ আত্মীয়দের দেওয়া হবে না, যতক্ষণ না তাঁর মৃত্যু সম্পর্কিত তদন্ত শেষ হচ্ছে। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, দেহ নাকি মর্গে নেই! আর এর পর থেকেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, পুতিন প্রশাসন কি কিছু লুকোতে চাইছে?
এই পরিস্থিতিতে নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমুখ জানিয়েছেন, প্রয়াত নেতার মা ও আইনজীবী সালেখার্দের মর্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু মর্গের দরজা বন্ধই ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নাভালনির দেহ সেখানেই রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার আগে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। যদিও পরে নাভালনির আইনজীবীকে পুলিশ বলে, মর্গে নিহত নেতার দেহ নেই! ফলে উদ্বেগ বাড়ছে নাভালনির সমর্থক ও পরিবারের। এদিকে নাভালনির মৃত্যু ঘিরে পশ্চিমি দুনিয়া পুতিনের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। বার বার রুশ প্রেসিডেন্টের বিরোধীদের রহস্যমৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন নাভালনি।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন মানল পুলিশ, ‘শাহজাহানের গ্রেপ্তারির দায়িত্ব ইডির’, বললেন রাজীব কুমার]
বলে রাখা ভালো, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচক হিসাবেই খ্যাত নাভালনি। ক্রেমলিনের অন্দরে চলা দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তিনি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলার ডাকও দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এহেন পরিস্থিতিতে জালিয়াতি ও দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে নাভালনিকে দোষী সাব্যস্ত করে রাশিয়ার একটি আদালত। তাঁর সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ বছর করা হয়। পরে তা আরও বেড়ে একলাফে হয় ১৯ বছর।