সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুপ্তধনের উদ্ধারে সোনাদাকে মগজাস্ত্রে শান দিয়ে সমাধান করতে হয়েছিল একের পর এক জটিল ধাঁধা। কিন্তু তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে আর সেই জটিলতায় পড়তে হল না জম্বুকেশ্বর মন্দিরের কর্তৃপক্ষকে। জাতিরুভানাইকাভালের জম্বুকেশ্বর মন্দিরের (Jambukeswarar Temple) কাছে খননকার্যের সময় উদ্ধার হয় একটি পিতলের পাত্র। তাতে মিলেছে ১.৭১৬ কিলোগ্রাম ওজনের ৫০৫টি সোনার মুদ্রা। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবিষ্কৃত মুদ্রাগুলির মধ্যে ৫০৪টি ছোট, একটিই বড়। এবং তার পিঠে আরবি হরফে কিছু খোদাই করা আছে। যা দেখে অনুমান, খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার থেকে বারোশো শতকের পুরনো এই মুদ্রাগুলি। সেই আরবি হরফে কী লেখা আছে জানতে ডাকা হয়েছে এক ভাষাবিদকে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, মুদ্রা সমেত পাত্রটি মাটির প্রায় সাত ফুট নিচে পাওয়া গিয়েছে। আপাতত পাত্র সমেত স্বর্ণমুদ্রা তুলে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে। পাত্র এবং মুদ্রাগুলি কোন সময়ের? জানতে ডাকা হয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের। তারা সেই পাত্র ও সোনার মুদ্রাগুলিকে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে তারা জানাবেন মুদ্রাগুলির আসল বয়স কত। কোন সালে তা তৈরি করা হয়।
[আরও পড়ুন:‘সরকারের উচিত দ্রুত শান্তি ফেরানো’, দিল্লির হিংসা নিয়ে এবার সরব আরএসএসও]
সোনার মুদ্রা উদ্ধারের খবর পেয়ে তা দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অনুমান, জম্বুকেশ্বর মন্দিরের কাছে আগে রাজ পরিবারের বাস ছিল। শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে তা মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। কিছুদিন আগেই ভারতের সোনভদ্রে মিলেছে সোনার খনির খোঁজ। সোনভদ্র জেলার খনি আধিকারিক কে কে রাই জানান, সোনার পাশাপাশি ওই দুই অঞ্চলে খোঁড়াখুঁড়ি করে আরও বেশ কয়েকটি খনিজেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।বর্তমানে ভারতের গোল্ড রিজার্ভের মোট পরিমাণ ৬২৬ টন। অর্থাৎ এতদিন গোটা দেশের কাছে যে পরিমাণ সোনা মজুত ছিল, এবার ওই দুই জায়গায় মাটি খুঁড়ে তার পাঁচ গুণেরও বেশি সোনার সন্ধান পেলেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কর্তারা।
[আরও পড়ুন:বয়সের ভারে পালাতে পারেননি আকবরি, দিল্লির হিংসার আগুনে খাক ৮৫-এর বৃদ্ধা]
The post তামিলনাড়ুতে মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার গুপ্তধন! তুলে দেওয়া হল সরকারের হাতে appeared first on Sangbad Pratidin.