সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের করোনা গ্রাফ সকলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus)। দেশজুড়ে বহু কোভিডজয়ীই আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে। সেই পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রও। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। তবে তারই মাঝে এবার কপালের ভাঁজ চওড়া করছে হোয়াইট ফাঙ্গাস বা ক্যানডিডা অ্যালবিকানস। নয়া এই রোগের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত প্রায় প্রত্যেকেই।
হোয়াইট ফাঙ্গাস (White Fungus) বা ক্যানডিডা অ্যালবিকানসে কেন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে? চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত কম তাঁরাই মূলত নতুন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যাঁরা করোনা রোগী তাঁদের এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ডায়াবেটিক, ক্যানসার রোগী, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড নেন তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন। সাইনাস, শ্বাসনালি, ফুসফুস, কিডনি, মূত্রনালি, জননাঙ্গে মূলত এই ছত্রাক আক্রমণ চালায়।
[আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজার টিকা নিলেই কুপোকাত করোনা! বলছে গবেষণা]
নতুন এই রোগের উপসর্গই বা কী? উপসর্গের দিক থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সঙ্গে নতুন এই রোগের কিছুটা মিল রয়েছে। মাথা যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, পা ফুলে যাওয়া, জননাঙ্গে জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা যায়। আবার অনেকের করোনার মতো উপসর্গও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বারবার আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও রোগ সারে না। তবে চিকিৎসকদের মতে, সেই সময় এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে এই রোগ ধরা পড়তে পারে।
৬ বছরের নিচের শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বারাও হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই রোগের প্রভাবে ফুসফুসজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট, যকৃত, মস্তিষ্ক, নখ, ত্বক এবং গোপনাঙ্গেও ক্ষতি করতে পারে হোয়াইট ফাঙ্গাস। চিকিৎসকদের মতে, নয়া এই ছত্রাকজনিত রোগ হোয়াইট ফাঙ্গাসের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেশি ভয়াবহ। পাটনা, বিহারে হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের খোঁজ মিললেও হোয়াইট ফাঙ্গাসের শিকার এখনও কেউ হননি। করোনা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মাঝে হোয়াইট ফাঙ্গাস যেন রাতের ঘুম কেড়েছে চিকিৎসকদের।