সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁস হয়ে যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য। এহেন আশঙ্কার জেরে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ জারি করতে নারাজ আমেরিকা (America)। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়েছে, সরকার এই পথে হাঁটছে না। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলি এই পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘আমার দেশকে বাঁচান’, বিউটি কনটেস্টের মঞ্চেই মায়ানমারের মডেলের কাতর আর্তি]
এদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, “টিকা নেওয়ার প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি বহন করার পক্ষে মত দেয়নি সরকার। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও ফেডারেল তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়নি। মার্কিন নাগরিকরা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও বৈষম্য নিয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। সরকার সেই কথা মাথায় রেখে বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশিকা প্রকাশ করবে। ” এবার জেনে নেওয়া যাক কী এই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট? এটি একটি ডিজিটাল হেলথ পাস। যা মিলবে বিশেষ কিছু অ্যাপের মাধ্যমে। করোনা সংক্রমণ ও টিকার সংক্রান্ত সমস্তু খুঁটিনাটি থাকবে এই অ্যাপে। অর্থাৎ আপনি সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, টিকা নেওয়া আছে কিনা, টিকা নিলে কতদিন আগে তা নিয়েছেন। এরকম সমস্ত তথ্যই থাকবে এই অ্যাপে। সেই তথ্য নিয়েই তৈরি হবে ডিজিটাল হেলথ পাস ভ্যাকসিন পাসপোর্ট।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চ, সিনেমা হল, অফিস কাছারিতেও বাধ্যতামূলক হবে এই অ্যাপ। ঠিক যেমন ভাবে বিদেশ সফরে পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়, তেমনই এই ভ্যাকসিন পাসপোর্টও বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই পাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ কার্যকর হবে না। কারণ প্রতিষেধক নেওয়ার পরও পুনঃসংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আইবিএম, কম ট্রাস্ট নেটওয়ার্কের মতো সংস্থা স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ ডিজাইনিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কম ট্রাস্ট নেটওয়ার্কে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে যার নাম CommonPass অ্যাপ। আইবিএম তৈরি করছে Digital Health Pass। কিন্তু এর ফলে তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা।