সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে হয় উদ্বোধন। আর যাত্রা শুরুর পর দিন চারেকের মধ্যেই বিতর্কে জর্জরিত মোদির সাধের প্রমোদতরী গঙ্গাবিলাস। কখনও এই ক্রুজে মদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠছে তো কখনও যাত্রাপথে বিভ্রাটের জেরে এটি উঠে আসছে শিরোনামে। এবার সরাসরি আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। গঙ্গাবিলাসকে ‘অশোভনীয়’ করে কটাক্ষ করেন তিনি।
১৩ জানুয়ারি বারাণসী থেকে ৫১ দিনের যাত্রা শুরু করে ক্রুজটি। ২৭টি নদী পেরিয়ে যার গন্তব্য ডিব্রুগড়। পথে যাত্রীরা দেখে নিতে পারবেন অন্তত ৫০টি পর্যটনস্থল। এই বিলাসবহুল ব্যবস্থার জন্য প্রতিরাতে যাত্রীদের খরচ ৫০ হাজার। আর এই বিপুল খরচ নিয়েই আপত্তি জয়রাম রমেশের। তাঁর দাবি, এই প্রমোদতরী যেন চোখে আঙুল দিয়ে গবির ও ধনীর পার্থক্য বুঝিয়ে দিচ্ছে। তাই এটি ‘অশোভনীয়’। কংগ্রেস নেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা গঙ্গাবিলাস আসলে অশোভনীয়।
[আরও পড়ুন: কাগুজে যুগ শেষ, ফের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ফিরছে স্মার্ট কার্ড, খসবে বাড়তি টাকা!]
অত্যন্ত ধনী ছাড়া প্রতিরাতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করার সাধ্য আর কার আছে?” শুধু তাই নয়, রমেশের দাবি, গঙ্গা এখনও নির্মল নয়। আর পবিত্র নদীর নিচে থাকা প্রাণীদেরও ক্ষতি করবে এই ক্রুজটি। টুইটারে তিনি লেখেন, “এই নাটকের জেরে গঙ্গার নিচে থাকা প্রাণীগুলো বিপদে পড়বে।”
উল্লেখ্য, ক্রুজের উদ্বোধন করেই মোদি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম এই ক্রুজ ভারতের পর্যটনের সংজ্ঞা বদলে দেবে। মানুষকে দেশীয় সংস্কৃতির শিকড়ে পৌঁছে দেবে গঙ্গাবিলাস। কীভাবে নানা সুন্দর ও আকর্ষণীয় বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই দেশ, তার সন্ধান দেবে। কিন্তু মোদির সাধের প্রমোদতরীকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
এরই মধ্যে আবার মঙ্গলবার বিহারে বিভ্রাটের মুখে পড়ে ক্রুজটি। বিহারের চিরান্দ প্রত্নক্ষেত্রে যাত্রীদের নামানোর জন্য গঙ্গার তীর বরাবর এগিয়ে আসছিল গঙ্গাবিলাস। তখনই ডোরিগঞ্জ এলাকার কাছে গঙ্গার পলির মধ্যে আটকে যায় সেটি। সেই সময় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছোট নৌকা আসে। তাতেই যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চিরান্দ পৌঁছে দেওয়া হয়। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ক্রুজটি কোথাও আটকায়নি। নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত পথেই সেটি যাত্রা করেছে।