অর্ণব আইচ: পার্কসার্কাসে (Park Circus) পুলিশকর্মীর আত্মহত্যার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকঘণ্টা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মানসিক রোগে ভুগছিলেন চোড়ুপ লেপচা। তারপরেও কেন তাঁকে এই ডিউটিতে রাখা হল? হাতে দেওয়া হল আগ্নেয়াস্ত্র? উঠছে প্রশ্ন।
চোড়ুপ লেপচা নামে ওই পুলিশকর্মী বছরখানেক আগে চাকরি পান। প্রথমে এসটিএফে যোগ দেন তিনি। সেই সময় অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদে অভিযান চালান। জানা গিয়েছে, গাড়ি থেকে মাঝপথেই নেমে পড়েছিলেন। ফেসবুক লাইভ করারও চেষ্টা করেন। অন্যান্য পুলিশকর্মীরা এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলতে পারে বলে আতঙ্কে ভুগছিলেন। মানসিক সমস্যা যে রয়েছে তা আঁচ করেন অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। অভিযানের মাঝেই দু’জন পুলিশকর্মী চোড়ুপকে নিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন। সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। মানসিক চিকিৎসাও করানো হয়।
[আরও পড়ুন: অশান্তি রুখতে উলুবেড়িয়ায় জারি ১৪৪ ধারা, অগ্নিদগ্ধ বিজেপি কার্যালয় পরিদর্শনে দিলীপ]
জানা গিয়েছে, চোড়ুপ লেপচা মাদকাসক্তও ছিলেন। আত্মঘাতী পুলিশকর্মীর সহকর্মীদের দাবি, মানসিক চিকিৎসার পরেও নানারকম অস্বাভাবিক আচরণ করতেন চোড়ুপ। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার পরেও কেন তাঁকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হল? কেনই বা তাঁর হাতে দেওয়া হল আগ্নেয়াস্ত্র? শুক্রবারের ঘটনার পর এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিপি বিনীত গোয়েল চোড়ুপের মানসিক সমস্যা যে আগে থেকেই ছিল, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। মানসিক অবসাদে ভোগার সম্ভাবনার কথাই শুধুমাত্র তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল।
এদিকে, ঘটনার পরই ওই এলাকার বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, ঘটনার ঠিক কিছুক্ষণ আগে একটি বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলেন চোড়ুপ। নিচে নেমে আসার পর এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে। ঠিক কী কারণে সিঁড়ি দিয়ে ওই বাড়িটিতে উঠেছিলেন চোড়ুপ, তা এখনও অস্পষ্ট। কারও খোঁজ করছিলেন পুলিশকর্মী নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় নিহত বাইক আরোহী তরুণী রিমা সিংয়ের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। বাইকে থাকাকালীন চলন্ত অবস্থায় কীভাবে গলায় গুলি লাগল তাঁর, উঠছে প্রশ্ন।