সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন (Boris Johnson)। তবে পদত্যাগ করলেও আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তিনিই থাকছেন ব্রিটেনের (UK) মসনদে। কিন্তু তারপর? কে হবেন বরিসের উত্তরসূরি? জানা গিয়েছে, অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। এখনও পর্যন্ত যে ৫ জনের নাম উঠে এসেছে নিঃসন্দেহে তার শুরুতেই থাকছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম। তবে এছাড়াও যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাক বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দায়িত্বে কে থাকবেন, তা নির্ধারণ করতে এবার হয়তো হতে চলেছে এক অন্যরকম ভারত-পাকিস্তান লড়াই! দেখে নেওয়া যাক তালিকায় কারা কারা রয়েছেন-
ঋষি সুনক– ব্রিটিশ বুকিরা কিন্তু বাজি ধরছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতর উপরেই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ঋষির ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ওয়েস্টমিনস্টারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী তিনিই। ব্রিটেনের করোনা মোকাবিলার মুখ হিসেবে গত দু’বছরে তাঁকেই দেখা গিয়েছে। যদিও পার্টিগেট কাণ্ডে বদনামও কুড়োতে হয়েছে। তবুও বাজির দর তাঁর পক্ষে ৪/১।
[আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ‘হাফ সেঞ্চুরি মার দি ইসনে’, সৌরভের জন্মদিনে কবিতা উপহার জাভেদ আখতারের]
পেনি মর্ডান্ট– জনসনের আসনের দু’জন দাবিদারের মধ্যে একজন ধরা হচ্ছে পেনিকে। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব পেনিকে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন বরিস। পেনিই ছিলেন সেদেশের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষা সচিব। কিন্তু জনসনের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। এবার জনসনের সরে যাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন তিনি।
বেন ওয়ালেস– ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন বরাবরই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় কথা বলার জন্য পরিচিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্রিটেনের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে তিনিই প্রধান কণ্ঠস্বর। মনে করা হচ্ছে তিনিও প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসতে পারেন।
সাজিদ জাভিদ- পাক বংশোদ্ভূত সাজিদ ২০১৯ সালেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। প্রাক্তন চ্যান্সেলর এই ব্যক্তি গত বছর স্বাস্থ্য সচিব হন। যদিও তাঁর পরে চ্যান্সেলর হওয়া সুনকের পারফরম্যান্স অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে সাজিদের জনপ্রিয়তা, তবুও তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নদীতে ভেসে গেল গাড়ি, মৃত ৯]
লিজ ট্রুস– ট্রুস ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশ সচিব। ভাবী প্রধানমন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্রিটেনের তরফে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকায় তিনি অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া বেশ সক্রিয় ট্রুসকেই দেশের মসনদে দেখতে চাইছেন অনেকেই।