shono
Advertisement

সাংসদদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রোষে বরুণ গান্ধী

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তরুণ সাংসদ। The post সাংসদদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রোষে বরুণ গান্ধী appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:52 AM Oct 25, 2018Updated: 09:52 AM Oct 25, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির সুলতানপুর কেন্দ্রের সাংসদ বরুণ গান্ধী। বুধবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে মডেল উমেনস কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন বরুণ। সেখানেই তিনি বলেন, “যে কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের বেতন বাড়ে। কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে এই বৃদ্ধি হয়ে থাকে। কিন্তু গত ১০ বছরে শুধুমাত্র হাত তুলেই নিজেদের বেতন বাড়িয়েছেন সাংসদরা। ১০ বছরে সাতবার সাংসদদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। আমি একাধিকবার সাংসদের এই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু কেউই আমার কথা শোনেনি। আমি সাংসদদের বিস্তারিত সম্পদের বিবরণ জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে তা জানানো হয়নি। বরং বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করায় আমাকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গেলে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন আমি সরকারের সমস্যা বাড়াচ্ছি?” রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বরুণের এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে সমস্যায় ফেলবে। তবে বিজেপি বা সরকারের তরফে বরুণের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

Advertisement

[কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রুখতে পদক্ষেপ, কমিটি গঠন কেন্দ্রের]

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বরুণ উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের উদাহরণ তুলে ধরে সমগ্র দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই বিজেপি সাংসদ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ওই স্কুলে লেখাপড়া ছাড়া সব কিছুই হয়। ওই স্কুলে নিয়মিত বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হয়। বিবাহের অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় কেউ মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয় ওই স্কুলে। শিশুরা সেখানে ক্রিকেট খেলে। নেতারা সেখানে ভাষণ দেন।” তাঁর আক্ষেপ, বর্তমানে সরকার প্রতি বছর শিক্ষাখাতে তিন লাখ কোটি টাকা খরচ করে। বরাদ্দকৃত এই অর্থের ৮৯ শতাংশ খরচ হয় স্কুলের বাড়িঘরের পিছনে। স্কুলের বাড়িঘর তৈরিকে কখনওই শিক্ষা বলা যায় না।

[বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান, ফের আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছেন মোদি]

কৃষি ও কৃষকের সমস্যা নিয়েও এদিন সরব হন বরুণ। এ প্রসঙ্গে এই সাংসদ বলেন, “এ দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ইজারা নিয়ে জমি চাষ করেন। যা একেবারেই অবৈধ। কারণ তারা সরকারের কাছ থেকে এ জন্য কোনও সাহায্য পান না। এই কৃষকরা কৃষিঋণ পান না। ফসল নষ্ট হলে কোনও ক্ষতিপূরণ পান না। গত ১০ বছরে চাষের খরচ তিনগুণ বেড়েছে অথচ উৎপাদিত ফসলের দাম সেভাবে বাড়েনি। এর ফলে কৃষকরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। যা থেকে কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। শুধুমাত্র বিদর্ভেই ১৭ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।”

The post সাংসদদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রোষে বরুণ গান্ধী appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement