শুভঙ্কর বসু: কেন্দ্রীয় হারে কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) দেওয়া হচ্ছে না? এক্ষেত্রে কেন মূল্যসূচককে ভিত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে না? বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানিতে ফের কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে। এদিন শুনানি চলাকালীন এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চান বিচারপতি সৌমেন সেন।
আদালতের এই প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল মন্তব্য করেন, “ডিএ সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার নয়।” যদিও রাজ্য সরকারের এই উত্তরের বিরোধিতা করেছে মামলাকারী। কারণ এর আগেও ডিএ মামলায় একাধিকবার এই একই মন্তব্য করেছে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে বিস্তর বাদানুবাদ হয়েছে। অবশেষে ডিএ-র আইনি বৈধতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল হাইকোর্ট। ফলে অ্যাডভোকেট জেনারেলের মন্তব্যে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগের তথ্য চেয়েও পাইনি’, রাজ্যকে খোঁচা Jagdeep Dhankhar-এর]
এই মামলা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখতে নারাজ হাই কোর্ট। আগামী ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর দু’দিন পরপর এই মামলার শুনানি চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। যদিও এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ‘রাজ্য ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে। ধাপে ধাপে ১২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। বাকিটা নিয়েই আলোচনা চলছে।’
এর আগে নতুন বছরের গোড়াতেই ডিএ (DA) নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বধীন সরকার। রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও এবার ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের যে সমস্ত কর্মীরা মাসিক দু’লক্ষ এক হাজার টাকার বেশি বেতন পান, তাঁরাও ৩ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের পদস্থ কর্তা, বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তাদেরও বেতনের ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা বা ডিএ পাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।