সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোনটা একটু দেওয়া যাবে? এখুনি একটা জরুরি কল করতে হবে, আমার ফোনটার চার্জ শেষ৷- এরকমই সহজ সরল অনুরোধ৷ আর তাতেই আগুপিছু কিছু না ভেবেই নিজের ফোনটি অজানা দুই ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র৷ তারপরই চমক৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িতে স্টার্ট দিয়ে পিঠটান দিলেন ওই দুই ব্যক্তি৷ কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এক কনস্টেবল৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি ধাওয়া করেন৷ ধাওয়া করেন ছাত্রটিও৷ একটু দূরে গিয়েই অবশ্য গাড়ি থামে৷ বেরিয়ে আসেন ছিনতাইকারীরা৷ আর এরপর চমকের উপর চমক৷ কেননা ওই দু’জন আর কেউ নন, তাঁরা নিজেরাও পুলিশ অফিসার৷
কিন্তু পুলিশ কেন ছাত্রর ফোন ছিনতাই করে চম্পট দিলেন? দিয়েছিলেন কেননা, পুরোটাই ছিল একটি সচেতনতা প্রসার অভিযান৷ ঠিক এই কায়দাতেই একের পর এক ফোন চুরি হচ্ছিল দিল্লিতে৷ সবথেকে ভুক্তভোগী ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরাই৷ আর তাই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়াতেই সাদা পোশাকে এই ‘মক’ ছিনতাই করেছিলেন ওই দুই পুলিশ অফিসার৷ মৌরিস পুলিশ স্টেশনের সাব ইনস্পেক্টর গুরদীপ কৌর নিজে ছিলেন সাদা পোশাকে ছিনতাইকারীর দলে৷ ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে তাঁরা বলেন, অন্যকে সাহায্য করা ভাল, কিন্তু কোনও কিছু না ভেবে সাহায্য করা উচিত নয়৷ সাব ইনস্পেক্টর ওই ছাত্রকে বলেন, “আমি গাড়িতে বসে আছি৷ অথচ যখন বললাম আমার ফোনে চার্জ নেই, তোমার কোনও সন্দেহ হল না? মনে হল না যে কেন গাড়িতে চার্জার রাখা নেই! তা যদি নাও থাকে, তোমার তো ফোনটা একবার দেখতে চাওয়া উচিত ছিল৷”
এই ধরনের মক ছিনতাইয়ের পাশাপাশি মৌরিস নগরের দারোগা আরতি শর্মা নিজে ছাত্রছাত্রীদের গিয়ে সতর্ক করেন৷ ফোনচুরি রুখতে নাগরিকদেরই যে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে সে বার্তাই ছড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ৷