গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর? ইডির কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি কী? সেই রিপোর্ট আগামী ১৪ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
গত ২৩ আগস্ট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিজ্ঞপ্তিতে ওই কোম্পানির ‘সিইও’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেকের নাম। ঘটনাচক্রে অভিষেক চিকিৎসা সেরে দেশের ফেরার ঠিক পরদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে প্রায় ১৮ ঘণ্টার তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। যদিও অভিষেককে নতুন করে আর তলব করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: দত্তপুকুরের সেই গ্রাম যেন জতুগৃহ! বিস্ফোরণস্থলের ৫০ মিটার দূরে বাজি ঠাসা আরও গুদামের হদিশ]
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা (Amrita Sinha) বলেনে,”অভিষেকের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হয়েছে। একবার তাঁকে সমন করার পর আর কেন তলব করা হচ্ছে না? কেন আপনারা অভিষেককে তলব করতে পারছেন না? কে আটকাচ্ছে?” জবাবে ইডির আইনজীবী জানান, “তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে আবার তলব করা হবে।” তাতে আরও উষ্মাপ্রকাশ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন,”তদন্তের প্রয়োজনে এর আগে কেন তলব করেননি? এখন বলছেন করবেন? এটা কি তদন্ত হচ্ছে?”
[আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জেরে শুটআউট, প্রতিবেশীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য চাঁচলে]
বিচারপতি সিনহার এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন,”এমনিতেই গোটা তদন্তপ্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে বিজেপি ইচ্ছায়। তার উপর যদি কেউ আদালতে বসে এভাবে তদন্তকারীদের উপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।”