সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৫ অক্টোবর ম্যারাথন বৈঠকের পরও জিএসটির (GST) ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ মেটেনি। আজ ফের এই সমস্যা মেটাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে জিএসটি কাউন্সিল। সেই বৈঠকের আগেই কেন্দ্র তথা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বেনজির কটাক্ষে বিঁধলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন, কেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্ধক রাখছেন?
জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ বহুদিনের। আসলে কেন্দ্র অনেক আগেই জানিয়েছিল, করোনা মহামারীতে জিএসটি আদায় কমে যাওয়ায় রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য ক্ষতিপুরণের টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিবর্তে রাজ্যগুলি চাইলে কম সুদে ঋণ নিতে পারে। জিএসটি ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে রাজ্যগুলিকে দুটি বিকল্পের কথা বলেছিল কেন্দ্র। এক, রাজ্যগুলিকে কম সুদে ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে হবে। ঋণশোধের অর্থ সংগ্রহ করতে অতিরিক্ত সেস বসাতে পারবে রাজ্যগুলি। দুই রাজ্যগুলি বকেয়া ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকাই ঋণ নিতে পারবে। এবং ধীরে ধীরে তা পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রাপ্য টাকার পরিবর্তে ঋণের প্রস্তাব মানেনি বিরোধী রাজ্যগুলি। তাঁদের পালটা প্রস্তাব, যদি ঋণই নিতে হয়, তাহলে কেন্দ্র নিক। যদিও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রথম প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। আর সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রাহুল (Rahul Gandhi)।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের মেয়েদের স্পর্শ করলেই মৃত্যুদণ্ড’, লাভ জিহাদ নিয়ে বিস্ফোরক অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী]
এক টুইটে কংগ্রেস নেতা বলছেন, “প্রথমে কেন্দ্র জিএসটির জন্য রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল। তারপর করোনা এবং প্রধানমন্ত্রী মিলে অর্থনীতিটা শেষ করে দিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী নিজের কর্পোরেট বন্ধুদের ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার কর মকুব করলেন। নিজের জন্য ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে বিমান কিনলেন। আর এখন কেন্দ্র বলছে, তাঁদের কাছে জিএসটির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার টাকা নেই। অর্থমন্ত্রী বলছেন, ধার করো। কেন আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্ধক রাখছেন?”