[অমিত শাহ-মোদির ‘জাত’ নিয়ে মন্তব্য, লেখকের জিভ কেটে নেওয়ার হুমকি]
এই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং৷ তাঁর বক্তব্য, ‘ভণ্ড সাধুর তালিকায় বাবা রামদেবের না দেখে আমি দুঃখ পেয়েছি৷’ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গেরুয়া বস্ত্র পরে নকল পণ্য বিক্রি করলে বুঝি সব পাপ মাফ করে দেওয়া হবে? জাল ও নিম্নমানের পণ্যকে আসল বলে বিক্রি করে গোটা দেশকে রামদেব বাবা ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘মনু স্মৃতি’তে কি লেখা রয়েছে যে গেরুয়া বসন পরে ব্যবসায় নামলে সবরকম দুষ্কর্ম ঢাকা পড়ে যাবে?
বস্তুত বাবা রামদেবের সংস্থা ‘পতঞ্জলি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ কিন্তু কম নেই৷ পণ্যে ভেজাল মেশানো থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি-এরকম প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে৷ কিন্তু প্রত্যেকবারই যেন কোনও এক অদৃশ্য জাদু মন্ত্রে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যান বাবা রামদেব৷ তাঁর পতঞ্জলি আশ্রমের ভিতরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা৷ সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷ রয়েছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী৷ দুরন্ত বিপণন কৌশলে পতঞ্জলির পণ্য কেনা ও নিজের দেশকে ভালবাসা-যেন সমার্থক করে তুলতে পেরেছেন রামদেব৷ অথচ, সেই বাবা রামদেবই অসমে বন্যার্তদের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এখন দেখার বিষয়, এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র কি রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?
[পাকিস্তান নয়, ভারতে দেদার জাল ২০০০ টাকার নোট ঢুকছে বাংলাদেশ থেকে]
The post ভণ্ড ‘বাবা’দের তালিকায় রামদেবের নাম নেই কেন, উঠছে প্রশ্ন appeared first on Sangbad Pratidin.