সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট জিনিস কিন্তু সংসারের অতি প্রয়োজনের জিনিস। যেমন সেফটিপিন, যেমন সুচ। তেমনই ধারাল দরকারি জিনিস হল ব্লেড (Shaving Blade) । চুল কাটা, দাড়ি কামানো, নখ কাটা তো আছেই, এর বাইরেও গৃহস্থালীর কত টুকিটাকি কাজে লাগে ব্লেড। ভারতে নয়ের দশক থেকে আন্তর্জাতিক ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেট (Gillette) বেশি করে পরিচিত হয়। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের কারণে। পরে অবশ্য বহু ভারতীয় কোম্পানিও এসে পড়ে বাজারে, তাদের চমকদার বিজ্ঞাপন নিয়ে। ফলে ব্লেডের মোড়ক বদলেছে। কিন্তু একটা জিনিস বদলায়নি গত ১২০ বছরে। তা হল ব্লেডের চেহারা। ভাল করে বললে ব্লেডের অদ্ভুত নকশা। কেন জানেন?
এর উত্তর জানতে হলে ব্লেড তৈরির ইতিহাস জানতে হবে। যে ইতিহাস লিখেছিল ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি জিলেট। ১৯০১ সালে ব্যবসা শুরু করে জিলেট। ১৯০৪ সালে তারা বাজারে আনে ‘কিং ক্যাম্প’ (King Camp) নামের একটি ব্লেড। কিং ক্যাম্প জিলেট (King Camp Gillette) আসলে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার। তাঁর নামেই কোম্পানি, তাঁর নামেই ব্র্যান্ড। যা দ্রুত জনপ্রিয় হয়। মজার হল, পরবর্তী একশো বছরে বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বের যত কোম্পানির ব্লেড বাজারে এসেছে, সবগুলিই ওই একই নকশার। বিশেষত ব্লেডের মাঝের ফাঁকা অংশের নকশা এবং ব্লেডের মাপ কখনই বদলায়নি। তার কারণ ছিল।
[আরও পড়ুন: ভারতের গানকে জনপ্রিয় করার পুরস্কার, তানজানিয়ার TikTok স্টার কিলি পেলেন বিশেষ সম্মান]
আসলে সেকালে রেজারের হাতলের সঙ্গে ব্লেডটিকে যুক্ত করার জন্য যে ফাঁকা অংশ রাখা হয়েছিল ব্লেডের মাঝখানে, তা পরবর্তীকালে অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু তা অত্যন্ত কার্যকরি বলে প্রমাণিত হয় এবং দ্রুত জনপ্রিয়ও হয় জিলেটের ওই নকশা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে শেভিং ব্লেড মানেই ওই আকৃতি ও মাপকেই বোঝে গ্রাহক। পরবর্তীকালে সব সংস্থাই তাই ওই নকশা মেনেই ব্লেড তৈরি করে।
[আরও পড়ুন: নেটে আসক্ত সন্তানরা, ‘বাঁচাতে’ গিয়ে এ কী করলেন বাবা!]
সাম্প্রতিককালে শেভিং ব্লেডের সংজ্ঞা বদলে গেছে। ইলেকট্রিক শেভিং মেশিনও এসে গেছে বাজারে। তবু, বিশ্বের একদল মানুষের পছন্দ পুরনো স্টেনলেশ স্টিলের শেভিং ব্লেড। একাধিক প্রজন্ম ধরে যার চেহারায় বদল আসেনি। দাড়ি কাটার জন্য হোক বা পেন্সিল কাটার জন্য, আজও পাড়ার মুদির দোকানে গেলে মেলে শতাধিক বছরের পুরনো নকশার সেই ব্লেড।