shono
Advertisement

তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের বেকসুর খালাস কেন? কী যুক্তি সুপ্রিম কোর্টের?

মুক্তির কারণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Posted: 12:49 PM Nov 08, 2022Updated: 12:52 PM Nov 08, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৩ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির (Delhi) আদালত। সেই রায়কে সমর্থন করে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। সোমবার সাজাপ্রাপ্ত সেই আসামিদের বেকসুর খালাস করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রশ্ন ওঠে, নৃশংস অপরাধে দোষী সাব্যস্ত চরম সাজাপ্রাপ্তদের কেন মুক্তি দিল শীর্ষ আদালত। আজ প্রকাশ্যে এসেছে সেই কারণ। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দোষীদের। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তাদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিয়ানার (Haryana) রিওয়ারি জেলায় একটি ফাঁকা মাঠে উদ্ধার হয় ১৯ বছরের তরুণীর বিকৃত দগ্ধ দেহ। তরুণীর পরিবারের দাবি, একদিন আগে অপহরণ করা হয় তাঁকে। অপহরণের করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুনে করে রিওয়ারির ওই ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত হন রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদ নামের তিন যুবক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির একটি আদালত অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন জনকে। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। দিল্লি হাই কোর্ট এই রায়কে সমর্থন করে। হাই কোর্ট মন্তব্য করে, দোষীরা ভয়ংকর ‘শিকারী’।

[আরও পড়ুন: ইরানের আন্দোলনের আঁচ ভারতে, আমিনিকে সমর্থন করে হিজাব পোড়ালেন কেরলের মহিলারা]

যদিও দোষী সাব্যস্ত তিন যুবককে সোমবার বেকসুর খালাস করে দেশের শীর্ষ আদালত। তিন জনই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সাজা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, তিনজনকেই মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু ঠিক কোন কারণে তিন চরম সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দেওয়া হল?

[আরও পড়ুন: ‘মদ খান, ধূমপান করুন কিন্তু…’, আমজনতাকে আজব পরামর্শ দিলেন বিজেপি সাংসদ]

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যুবকদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। শীর্ষ আদালত আরও মন্তব্য করে, আইন অনুযায়ী কঠোর ভাবে মামলার নিষ্পত্তি করা উচিত আদালতের। বাইরের নৈতিক চাপে প্রভাবিত হওয়া কাজের কথা নয়। যদিও সাজা কমানোর আবেদনের বিরোধিতা করেছিল অপরাধের তদন্তকারী দিল্লি পুলিশ। পুলিশ আদালতকে জানায়, ভয়ংকর অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ায় সমাজের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তরুণীর পরিবার ভেঙে পড়ে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement