তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বিয়ের পরে পণের দাবিতে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন স্বামী! তারই প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন নির্যাতিতা বধূ। বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টির মিটমাট না হওয়ায়, শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ওই বধূ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হলেন এক পুলিশকর্মী। ঘটনায় ওই বধূ-সহ দুই পক্ষের পনেরো জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার কদমতলা এলাকা।
[আরও পড়ুন: মালদহে ব্যাঙ্ক লুঠের পান্ডা আসলে বিজেপি নেতা! চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিগারার সলকাভিটার বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে গত ৪ এপ্রিল বিয়ে হয় তুলাকাটা জোতের বাসিন্দা এক তরুণের। প্রায় একমাস সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তারপরই বধূর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর স্বামী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বধূ। তারই প্রতিবাদে রবিবার থেকে স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তিনি। পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়ে লাভ হয়নি বলে দাবি। তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ পালটা গৃহবধূকেই গ্রেপ্তার করার হুমকি দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার প্রতিবাদে চিড়িয়ামোড় এলাকাতে রাত প্রায় নয়টা নাগাদ এশিয়ান হাইওয়ে-২ (Asian Highway-2)তে পথ অবরোধ করেন। খবর পেয়ে মাটিগাড়া থানার পুলিশ এলাকাতে গিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়।
এরপরই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাঠিচার্জ করলে পুলিশের গাড়িতে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অনেক মদ্যপ দুষ্কৃতীও এই ঘটনায় যুক্ত বলে অনুমান পুলিশের। এরপরই পুলিশ ওই গৃহবধূ-সহ দুপক্ষের অন্ত্যত পনেরো জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে পুলিশের কোনও শীর্ষ কর্তা মুখ খোলেননি।