দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশি জেরার মুখে কুকীর্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অতিরিক্ত মদ্যপান ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত। সেনাকর্মীর দেহ পাঁচ টুকরো করে পুকুরে ফেলে গিয়েছিল ছেলে।
শুক্রবার বারুইপুর থানার মল্লিকপুরের ডিহি মদন মাল্যের একটি পুকুর থেকে পাওয়া যায় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ। পুকুরে দেহটি পাওয়া গেলেও হাত-পা-সহ দেহের একাধিক অংশ ছিল কাটা। দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে বারুইপুর থানার পুলিশ। এদিকে মৃতের ছেলে জয় ও স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তীকেও জেরা করতে শুরু করে তারা। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুরু হয় টানা জেরা।
[আরও পড়ুন: খুন করে প্রেমিকার দেহাংশ ভরতি ব্যাগ নিয়ে ‘প্রাতঃভ্রমণ’ আফতাবের! প্রকাশ্যে হাড়হিম দৃশ্য]
পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশের জেরাতে ছেলে জয় চক্রবর্তী জানায়, ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার রাতে অতিরিক্ত মদ্যপান করছিল তার বাবা। আর এই মদ্যপানকে কেন্দ্র করে প্রায়শই অশান্তি হত বাড়িতে। সেদিন রাতেও পলিটেকনিক কলেজে পাঠরত জয় বাবার মদ্যপানে বাধা দেয়। আর তা নিয়েই বাবা ও ছেলের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। বাবাকে বেধড়ক মারধর করে ছেলে। মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, নৌসেনা কর্মীর মাথা-সহ মুখ প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর দেহগুলিকে কাটা হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। দেহটি পাঁচ টুকরো করা হয়। দেহাংশগুলিকে ফেলা হয়েছিল বাড়ি থেকে ৭০০ মিটার দূরে। দেহাংশের উপর মাটি চাপা দেওয়া হয় সেই রাতেই। দেহটি ফেলা হয় পুকুরে। ছেলের এই অপকর্মে সাহায্য করেছিল তার মা শ্যামলীও। শুক্রবার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করলেও দেহাংশ গুলির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সেখানে ছেলেও স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। উদ্ধার করা হয় কাটা হাত-পা-সহ দেহের অন্যান্য অংশ।