রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: প্রাক্তন হলেই বা কী? টান তো থাকতেই পারে। আছেও। তাই তো ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে (Valentine’s Day) প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নদিয়ার করিমপুরের ব্যক্তি টনি মণ্ডল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা টের পেয়েছিলেন বর্তমান স্ত্রী। তিনি বাধা দেন। আর তাতেই রেগে অগ্নিশর্মা টনি স্ত্রীর গলা টিপে খুন (Murder)করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে পলাতক সে। টনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নদিয়ার থানারপাড়া থানায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রুবিয়া বিশ্বাস। বয়স ২৬ বছর। থানারপাড়া থানায় তাঁর বাবা মেয়ের খুনের লিখিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তা থেকে জানা যাচ্ছে, বছর চারেক আগে হায়তাপাড়ার টনি মণ্ডলের সঙ্গে রুবিয়ার বিয়ে হয়। তাঁদের ৩ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর অত্যাচার চলত। জামাইও অত্যাচার করত। মঙ্গলবার ভোরে রুবিয়ার মৃত্যু সংবাদ (Death)পান তাঁর বাড়ির লোকজন। সেখানে ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, রুবিয়ার মৃতদেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খুনের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান।
[আরও পড়ুন: রীতি বহির্ভূত কাজ করলে প্রতিক্রিয়ার ভাষা বদলাবে, রাজ্যপাল নিয়ে অবস্থান বদলের ইঙ্গিত তৃণমূলের]
রুবিয়ার পরিবারের আরও দাবি, রুবিয়া টনির চতুর্থ স্ত্রী। তিন স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রুবিয়াকে বিয়ে করে। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে টনির সখ্য তৈরি হয়েছিল। প্রায়শয়ই সেখানে যাতায়াত করত। ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে দু’জনে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু তা আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন রুবিয়া। বাধা দিয়েছিলেন স্বামীকে। আর সেই ক্রোধেই টনি রুবিয়াকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। রুবিয়ার মায়ের দাবি, জামাইয়ের স্বভাব খুব খারাপ, অনেক মেয়ের সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে মেয়ের সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। তবে তার জেরে যে মেয়ে খুন হয়ে যাবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। টনির ফাঁসির দাবিতে সরব তাঁরা। তবে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত টনি মণ্ডল। তদন্তে নেমেছে থানারপাড়ার থানার পুলিশ।