সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একপক্ষ আইনের পরিচালক, অন্যপক্ষ আইন ভাঙার কারিগর। নৈতিক দিক থেকে স্ববিরোধী এই দুই শ্রেণী অবশ্য কখনও কখনও মিলে যায় জীবনের চোরাস্রোতে। দেশের ইতিহাসে আইএএস কিংবা আইপিএস আধিকারিকের সঙ্গে গ্যাংস্টারের প্রেম একেবারে বিরল নয়। তবে এক্ষেত্রে গল্পটা কিছুটা আলাদা। গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে আইএএস স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন স্ত্রী। অবশ্য তার পরিণতি ভালো হল না। রহস্যমৃত্যু হল গুজরাটের সেই আমলার স্ত্রীর। জানা যাচ্ছে, স্বামীর ঘরের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সি মহিলা সূর্যদেবী।
স্বামীর সঙ্গে গুজরাটে থাকলেও আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সূর্য। সেখানেই এক গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে ৯ মাস আগে স্বামীর ঘর ছাড়েন তিনি। অপরাধীর সঙ্গে ঘর বেঁধে অপরাধেও লিপ্ত হন ওই মহিলা। ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরকে অপহরণেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে সেই মামলায় জড়িয়ে। গত শনিবার স্বামী আইএএস আধিকারিক রণজিৎ কুমারের গান্ধী নগরের বাড়িতে ফেরেন ওই মহিলা। তবে ঘরছাড়া স্ত্রীকে ফের ঘরে ঢুকতে দেননি ওই আমলা। দারোয়ানকে নির্দেশ দেন সূর্যকে যেন কোনওভাবে ঘরে ঢুকতে না দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ঘরে ঢুকতে না পেরে ঘরের বাইরেই বিষ খান ওই মহিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে সিন্ধু-সরস্বতী! ফের বিতর্কে NCERT]
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, 'হাই কোর্ট মহারাজ' নামে এক গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে ৯ মাস আগে আমলা রঞ্জিতকে ছেড়ে চলে যান সূর্য। তামিলনাড়ুতে পাকাপাকিভাবে গ্যাংস্টারের সঙ্গে ঘর বাঁধার পর। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনিও। সেখানে এক মহিলার সঙ্গে বিবাদের জেরে গ্যাংস্টার সঙ্গীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গত ১১ জুলাই তাঁর ১৪ বছর বয়সি ছেলেকে অপহরণ করেন সূর্য। এবং ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। যদিও তামিলনাড়ু পুলিশ উদ্ধার করে ছেলেটিকে। সূর্য-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: RSS-এ এবার শামিল সরকারি কর্মীরাও, ‘আধিকারিকরা কি শুধু অন্তর্বাস পরবেন’, তোপ কংগ্রেসের]
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গ্রেপ্তারি থেকে বাঁচতে এর পর আইএএস স্বামীর দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তবে স্ত্রীর কীর্তি জানার পর তাঁকে ঘরেই ঢুকতে দেননি ওই আমলা। অতঃপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। জানা যাচ্ছে, গ্যাংস্টারের সঙ্গে চলে যাওয়া স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে মামলাও দায়ের করেছিলেন রণজিৎ।