সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিকভাবে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে অরণ্যের রোদন শুরু করল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য, ২০১৯ ভোটের পর নতুন করে আবার ভারতের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। নতুন করে ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে শান্তির বার্তা। মঙ্গলবার রিয়াধে একটি সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন ইমরান।
[কাশ্মীরে নিহত জঙ্গির স্মরণসভা পাকিস্তানে, হাজির হাফিজ সইদ]
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বক্তব্যতেই ভারতের উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন ইমরান খান। মুখে বলেছিলেন, ভারত যদি সন্ত্রাস দমনে এক ধাপ এগোয় তাহলে পাকিস্তান এগোবে দু’ধাপ। কিন্তু ইমরানের সেই মুখের কথার প্রতিফলন বাস্তবের মাটিতে হয়নি। বাস্তবে দেখা গিয়েছে, ইমরানের পাকিস্তান আগের মতোই আড়াল থেকে হামলার রীতি চালু রেখেছিল। কাপুরুষের মতো ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দিয়ে যাচ্ছিল। নিয়মিত সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসছিল শেল এবং মর্টার। ভঙ্গ করা হচ্ছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তিও। এই পরিস্থিতিত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল করে ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রীকে দেখামাত্রই মুখ ঘুরিয়ে চলে আসেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এই ঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা করে চলেছে ইমরানের দেশ। পাকিস্তানের দাবি, ভারত শান্তি চাইছেই না, শান্তির উদ্দেশ্যে একেপারেই পদক্ষেপ করতে চাইছে না। ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই একই, আলোচনার টেবিলে দোস্তি আর সীমান্তে কুস্তি এই তত্ত্ব একসঙ্গে চলতে পারে না। এখনও এই তত্ত্বেই অনড় নয়াদিল্লি।
[এস-৪০০ নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান, ফের শুরু ইসলামাবাদের বয়ানবাজি]
সম্প্রতি একের পর এক আন্তর্জাতিক শিবিরে আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে চলেছেন ইমরান খান। সৌদি আরবের কাছেও সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো এবং পুরনো বকেয়া সাহায্যের টাকা পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে রিয়াধে গিয়েছেন ইমরান। সেখানে ইমরান বলেন,পাকিস্তান এমন একটা দেশ যার এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার শান্তি এবং নিরাপত্তা। আমরা আশা করছি, আগামী বছর ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল হবে।