সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি নিয়েছিলেন বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আপাতত কংগ্রেস বা বিজেপি কোনও শিবিরেই নাম লেখাতে চান না তিনি। কিন্তু ভোট মিটতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন নবীন পট্টনায়েক। তিনি জানালেন, যে দল বা যে মোর্চা ওড়িশার স্বার্থের কথা ভাববে, ওড়িশাকে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবে এবং ওড়িশার স্পেশ্যাল স্টেটাসের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়তা দেবে সেই দল বা জোটকেই সমর্থন করবে তাঁর দল।
[আরও পড়ুন: প্রচার শেষ হতেই শিবের দ্বারস্থ মোদি, গেলেন কেদারনাথ মন্দির দর্শনে]
২০০০ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা এনডিএ জোটের অংশ ছিল নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি। কিন্তু ২০০৯ লোকসভার আগে আসন সমঝোতা নিয়ে দু’দলের বিবাদের সূত্রপাত হয়। তখনই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল আখ্যা দিয়ে জোট ভেঙে দেন নবীন। তারপরও অবশ্য বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেডিকে পাশে পেয়েছে বিজেপি। নবীনের দল সংসদেও নানাভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছে। কিন্তু ভোটের আগে তাঁরা কোনও দলকেই সমর্থন করতে রাজি হয়নি। এমনকী প্রস্তাবিত তৃতীয় ফ্রন্টেও ছিল না বিজেডি। ভোট মিটতেই অবস্থান স্পষ্ট করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তাতে ধোঁয়াশা আরও বাড়ল। কারণ, কোন শর্তে জোটে যাবেন বললেও, কোন জোটে যাবেন সেকথা বলেননি নবীন পট্টনায়েক।
[আরও পড়ুন: ভোট শেষের আগেই বিরোধীদের তোড়জোড়, রাহুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে লখনউয়ে চন্দ্রবাবু]
কিন্তু নবীনের এই ইঙ্গিতে স্বস্তি দেখছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, নবীন পট্টনায়েক স্বাভাবিক মিত্র। তাই, শেষ পর্যন্ত এনডিএ-তেই নাম লেখাবেন তিনি। তাছাড়া মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভাল। কদিন আগেই ফণী পরবর্তী পরিস্থিতিতে ওড়িশাকে ১ হাজার কোটির প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্র। তখন, নবীনের কাজের প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসও অবশ্য আশা ছাড়তে রাজি নয়। আসলে, ওই মুহূর্তে ওড়িশায় বিজেডির প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাই কংগ্রেসের আশা, প্রধান প্রতিপক্ষের সঙ্গে সহজে হাত মেলাতে চাইবেন না। ইতিমধ্যেই, কংগ্রেসের তরফে আহমেদ প্যাটেল নবীনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
The post ভোটের পর কোন শিবিরকে সমর্থন? ইঙ্গিত দিলেন নবীন পট্টনায়েক appeared first on Sangbad Pratidin.