সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দৈনিক করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের হিসেবে ভারতকে টপকে গেল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। পরপর দু’দিন সংক্রমিতের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়েছে। মঙ্গলবারের সংক্রমণ গড়েছে নয়া রেকর্ড। সেদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৯৯ জন। যা ভারতের হিসেবের থেকে অনেকটাই বেশি। এই পরিসংখ্যানই ইঙ্গিত দিচ্ছে, এশিয়ার নয়া কোভিড হটস্পট (Covid hotspot) হয়ে উঠছে ইন্দোনেশিয়া। আর তার পিছনে অন্যতম ফ্যাক্টর করোনার ডেল্টা (Delta) স্ট্রেন।
গত ৭ জুলাই ইন্দোনেশিয়া দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হয়ে উঠছে সেদিকেই নির্দেশ করছে সংক্রমণের নতুন হিসেব। অথচ গত মাসেও দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচেই ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। আর এখন তা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই।
[আরও পড়ুন: পাক সেনার উপর হামলা তেহরিক-ই-তালিবানের, নিহত কমপক্ষে ১৫ জওয়ান]
স্বাভাবিক ভাবেই এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সেদেশের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের জোগান বাড়িয়ে করোনা চিকিৎসায় আশু সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বর্ষীয়ান মন্ত্রী লুহুত পান্ডজাইতান জানিয়েছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সমস্ত মন্ত্রীকেই দেশের অক্সিজেন পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমেরিকা, জাপান ও চিনের কাছ থেকে আমদানি করা হচ্ছে ৪০ হাজার টন তরল অক্সিজেন ও ৪০ হাজারের বেশি কনসেন্ট্রেটর।
কেবল অক্সিজেন নয়, হাসপাতালগুলিতেও বেডের অভাব দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলি উপচে পড়ছে রোগীতে। সেদিকেও নজর রেখেছে প্রশাসন। তবে দৈনিক সংক্রমণে ভারতকে পেরিয়ে গেলেও ভারতে গত মে মাসে করোনা যে ভয়াবহ চেহারা ধারণ করেছিল তা থেকে এখনও বহু দূরে ইন্দোনেশিয়া। উল্লেখ্য, ওই সময় দেশে দৈনিক সংক্রমণ পেরিয়ে গিয়েছিল ৪ লক্ষ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে যাচ্ছিল ৪ হাজার।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাসের মধ্যে ভয়াবহ IED বিস্ফোরণ, অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু]
এদিকে করোনার আলফা ও ডেল্টা স্ট্রেনের দাপটে কাবু ব্যাংককও। সংক্রমণে রাশ টানতে থাইল্যান্ডের রাজধানীতে সোমবার থেকে আরও কড়া হয়েছে লকডাউন। পাশাপাশি আরও ৯টি প্রদেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেভাবে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন সেদেশের প্রশাসন।