shono
Advertisement

ঝড়ে ভাঙল জীর্ণ বাড়ি, কপাল জোরে প্রাণে বেঁচে বকেয়া টাকার দাবি আশ্রয়হীনার

প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও প্রশাসনের গয়ংগচ্ছ মানসিকতায় ঝুলে রয়েছে বাকি টাকা।
Posted: 02:14 PM Mar 19, 2024Updated: 02:14 PM Mar 19, 2024

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কয়েক মিনিটের ঝড়বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে কপালজোরে প্রাণে বাঁচলেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার ঝালদা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) বকেয়া টাকার দাবিতে সরব হলেন আশ্রয়হীনা প্রতিমা কান্দু। নতুন বাড়ি তৈরি করতে অবিলম্বে আবাসের বকেয়া টাকা দেওয়ার আবেদন জানালেন তিনি।

Advertisement

প্রতিমা কান্দুর অভিযোগ, প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও প্রশাসনের গয়ংগচ্ছ মানসিকতায় ঝুলে রয়েছে বাকি টাকা। ফলে কিছুটা বানানোর পর টাকার অভাবে আটকে রয়েছে বাড়ির কাজ। বাধ্য হয়েই জীর্ণ বাড়িতে সপরিবারে থাকতে হয় তাঁদের। এই অবস্থায় সোমবার মাত্র কয়েক মিনিটের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে পড়ে তাঁর কাঁচা বাড়ির একাংশ। এই দুর্ঘটনায় কপাল জোরে প্রাণে বাঁচেন মা-সহ দুই বোন। প্রতিমা বলেন, “সোমবার রাত্রে খাওয়ার পর ঘুমোতে যাওয়ার সময় ঝড়বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। সেই সময় আমার বৃদ্ধা মা ও দুই বোন বাড়িতে ছিলাম। কপাল জোরে বেঁচে যাই। এখন পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।”

[আরও পড়ুন: বাড়ির দেওয়ালের পাশেই ধসে পড়ছে মাটি! ভাগীরথী তীরের ভাঙনে আতঙ্কে কাঁপছে কালনা]

প্রশাসনের কাছে আবাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রতিমা বলেন, ”প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও পুরপ্রধান পরিবর্তনের পর আর টাকা পাইনি। পুরসভার কাছে আমার আবেদন বাড়ি বানানোর জন্য বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার জানান, পাশেই বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেখানে সেপটিক ট্যাঙ্কের জন্য গর্ত করা হয়েছে। এর উপর ঝড়বৃষ্টির ফলে জল জমায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খবর পেয়ে আমি নিজে সেখানে গিয়েছিলাম। ওই পরিবারের আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে। একবা টাকাও পেয়েছেন। বাকি কিস্তির টাকা যাতে উনি পান তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা করব।

[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গেও লড়বে আদিবাসী কুড়মি সমাজ, বালুরঘাট আসনে ঘোষিত প্রার্থীর নাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement