সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন মহিলা। অবশেষে খোদ জেলাশাসকের বাংলোর সামনেই উদ্ধার হল দেহ। মাটি খুঁড়ে সেই দেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।
ঠিক কী অভিযোগ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কানপুর গ্রিন পার্ক এরিয়ায় একটি জিমে আসতেন মহিলা। ক্রমে সেই জিমের ট্রেনার বিমল সোনির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ট্রেনার কানপুরের রায়পুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি 'প্রেমিকে'র বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় মহিলা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে দাবি। তা নিয়ে বিমলের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়।
এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর ফের জিমে যান মহিলা। পুলিশকে ধৃত জানিয়েছেন, বিয়ের বিষয়ে একটি গাড়ির ভিতরে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের তর্ক বাধে। তখনই রাগের মাথায় মহিলাকে ঘুসি মারেন অভিযুক্ত। তা এতটাই জোরে ছিল যে অজ্ঞান হয়ে যান মৃতা। মহিলা জ্ঞান হারালে তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত। তার পর সরকারি বাংলোর সামনে মহিলার দেহ পুঁতে দেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এবিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।
উত্তর কানপুরের ডিসিপি শ্রবণকুমার সিং বলেন, "অভিযুক্ত কোনও ফোন ব্যবহার করেন না। ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হয়েছে। ধৃতের খোঁজে আগ্রা, পুণে, পাঞ্জাব বিভিন্ন জায়গায় তদন্তকারী দল পাঠানো হয়।" ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।